ফেনী জেলার চারটি উপজেলায় পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে রবিবার (৩১ মার্চ) চুতর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ চলছে। এর মধ্যে ফেনী সদরে চলছে ইভিএমে ভোটগ্রহণ। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ফেনী শহরে ও তার আশপাশের বেশ কয়েকটি কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়া কেউ নেই। এমনকি নৌকা ছাড়া অন্য প্রার্থীদের এজেন্টও খুঁজে পাওয়া যায়নি এসব ভোটকেন্দ্রে। এসব ফাঁকা কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিতরা খোশগল্প করে সময় কাটাচ্ছেন।
ফেনী শহরের আলীয়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, এই কেন্দ্রের মাঠ পুরোটাই ফাঁকা। দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রে ভোটার না থাকায় অলস সময় পার করছেন। কেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশের পর দেখা গেল মাদ্রাসায় বিভিন্ন কক্ষে সাতটি বুথ। শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভোটারের ভোটকেন্দ্র এটি। এখানকার মোট ভোটার দুই হাজার ৭১০ জন।তবে বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টায় এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছে মাত্র ৬১টি।
এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মতিউর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ভোটার উপস্থিতি কম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা বাড়তে পারে।’
ফেনী সরকারী বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩০টি। কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতিও কম। ওই কেন্দ্রে তিন নম্বর বুথের সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার হারাধন বর্মন জানান, ‘সকাল থেকে এই পর্যন্ত কেবল একজন ভোটার ভোট দিয়েছেন।’
এই স্কুলে আরেকটি কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দিদোয়ানুল কবির জানান, তার কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ২৩১৫ জন। সবাই পুরুষ ভোটার। বেলা সোয়া এগারটা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৭০টি।
ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আনোয়ারুল বলেন,‘ কেন্দ্রে ভোটার নাই, বসে থেকে কাজ নাই। ভোটার না থাকায় অলস সময় পার করছি আমরা।’
রির্টানিং অফিসার পিকে এনামুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসবেন।’