X
শনিবার, ০৩ মে ২০২৫
১৯ বৈশাখ ১৪৩২

সোনাগাজীর ওসিসহ চার পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে তদন্তে!

ফেনী প্রতিনিধি
৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:১৮আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০১৯, ১৬:০২

নুসরাত হত্যা মামলা

নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ফেনীর দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ভূমিকা তদন্তে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটির কাজ এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) তদন্ত কমিটি এ প্রতিবেদন দাখিল করবে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, তদন্তে সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনসহ অন্তত চার পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছেন কমিটির সদস্যরা।

জানা গেছে, তদন্ত কমিটি ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার, সাবেক ওসি মোয়াজ্জেমসহ সংশ্লিষ্ট ১০ পুলিশ কর্মকর্তা, মাদ্রাসার কমিটি, স্থানীয় সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের প্রতিনিধি মিলিয়ে অন্তত ৩৭ জনের বক্তব্য নিয়েছে।

তদন্ত কমিটির প্রধান এবং পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমীন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তদন্তকাজ শেষ। প্রতিবেদনও এখন প্রায় চূড়ান্ত। আজকের মধ্যে আইজিপি মহোদয়ের কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।’

নুসরাত হত্যার ঘটনায় পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতি তদন্তে গত ১৬, ১৭ ও ১৮ এপ্রিল তদন্ত কমিটির প্রধান এবং পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি এসএম রুহুল আমীন তদন্তে আসেন। এর আগে গত ১২ এপ্রিল মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত দল স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশকে দায়ী করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তারা তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করে, নুসরাতকে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার যৌন হয়রানির চেষ্টার ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিলে নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা এড়ানো যেতো। এ ঘটনার জন্য স্থানীয় প্রশাসন দায় এড়াতে পারে না।

ঘটনায় নুসরাতের বড়ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বাদী হয়ে গত ৮ এপ্রিল আটজনের নাম উল্লেখ করে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। ১০ এপ্রিল মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই ২৩ আসামিকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে ১০ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এখনও ছয়জন রিমান্ডে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, নিহত নুসরাত জাহান রাফি সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার আলিমের পরীক্ষার্থী ছিলেন। ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠে। নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে ২৭ মার্চ সোনাগাজী থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর অধ্যক্ষকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে নুসরাতের পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্রের পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এসময় তাকে কৌশলে একটি বহুতল ভবনে ডেকে নিয়ে যায় অধ্যক্ষের ভাগ্নি পপি। সেখানে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।

/এফএস/এমএমজে/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
আজ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস
দাপট দেখিয়ে হায়দরাবাদকে হারালো গুজরাট
দাপট দেখিয়ে হায়দরাবাদকে হারালো গুজরাট
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
কেন আবারও আন্দোলনে যাচ্ছেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরা?
সব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউর
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসসব কালো আইন বাতিলের দাবি ডিআরইউর
সর্বাধিক পঠিত
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
সাবেক এমপি ও বিএনপি নেতার ওপর দিনে সশস্ত্র হামলা, রাতে বাড়িতে আগুন
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
আগে রওনা দিয়েও এড়ানো গেলো না ‘নোটাম’, শাহজালালের ফ্লাইট গেলো ওসমানীতে
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক
দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয় আটক
রবিবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
রবিবার দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বুকে-পেটে প্রকাশ্যে গুলি
নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ীর বুকে-পেটে প্রকাশ্যে গুলি