X
বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪
১৯ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকটে লাখো পানিবন্দি মানুষ

নীলফামারী প্রতিনিধি
১৭ জুলাই ২০১৯, ১৯:০৯আপডেট : ১৭ জুলাই ২০১৯, ১৯:৫০

বাঁধ ভেঙে গ্রামগুলোতে পানি ঢুকেছে নীলফামারীতে টানা বৃষ্টিপাত ও উজানের পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানি গত কয়েকদিনে ওঠা-নামা করেছে। বর্তমানে তিস্তার পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ডিমলা ও জলঢাকার কমপক্ষে ৩৫টি গ্রামের দুই লক্ষাধিক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। নিরাপদ পানি ও খাদ্য সংকটে তারা চরম দুর্ভোগে পড়েছে। এসব এলাকায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে হু-হু করে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া ডিভিশনের পানি পরিমাপক উপ-সহকারী প্রকৌশলী আমিনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামের বানভাসি আশরাফ আলী (৬৫) বলেন, ‘নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ছোটখাতা গ্রামের সাত শতাধিক বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। পানিবন্দি এসব পরিবার চুলা জ্বালাতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছে। এছাড়া শিশুদের খাবার সংকট সৃষ্টি হয়েছে।’

ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বলেন, ‘তিস্তাবেষ্টিত এলাকার প্রায় পাঁচটি সুরক্ষা বাঁধ ভেঙে গিয়ে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করেছে। বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।’ তাদের ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার দাবি করেন তিনি। ত্রাণ সংকটের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যতটুকু ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে, তা বন্যাকবলিত মানুষের পর্যাপ্ত নয়।’

পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, ‘৭ জুলাই ভোর রাত থেকে এই এলাকায় নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। বন্যার পানি ওঠানামার ফলে ইউনিয়নের ঝাড়শিংহেশ্বর, পূর্বছাতনাই গ্রামের দুই হাজার পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে আমন ধানের বীজতলার। পরপর দুবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত এসব এলাকার মানুষের শত শত একর পুকুরের মাছ বানের জলে ভেসে গেছে।’

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা এসএ হায়াত বলেন, ‘বন্যা দুর্গত এলাকার মানুষের জন্য ডিমলা উপজেলার বানভাসিদের জন্য ১৫০ মেট্রিকটন চাল, দেড় হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, নগদ দুই লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ৫০ মেট্রিকটন চাল, ৫০ হাজার টাকা এবং ৫০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়াও অতিরিক্ত ৫০০ মেট্রিকটন চাল, পাঁচ লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের জন্য আরও চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। সেগুলো আসলে দ্রুত বণ্টন করা হবে। সরকারের পক্ষে এ ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।’

তিনি জানান, এবারে বন্যায় নীলফামারীতে পাঁচ কিলোমিটার বাঁধ, ২০৬ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা, ১৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ২০০৮টি টয়লেট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

 

 

 

 

 

 

 

/এমএএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
জোরে সালাম শুনেই ঘাড় ফিরিয়ে উত্তর দেন খালেদা জিয়া
জোরে সালাম শুনেই ঘাড় ফিরিয়ে উত্তর দেন খালেদা জিয়া
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
বজ্রাঘাতে প্রাণ গেলো ১০ জনের
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
ব্যর্থতার অভিযোগে শিক্ষামন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে আইনি নোটিশ
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
বাবাকে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিললো নদীতে
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ, খুলনা-মোংলায় শুরু হচ্ছে ট্রেন চলাচল
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
তীব্র তাপপ্রবাহ যেখানে আশীর্বাদ
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক হচ্ছে
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম