X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে প্রস্তুত চার জাহাজ

খুলনা প্রতিনিধি
১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৭আপডেট : ১৯ নভেম্বর ২০১৯, ২০:৫৮

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে প্রস্তুত চার জাহাজ

নোয়াখালীর ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এ এক লাখ রোহিঙ্গা নিতে চারটি জাহাজ তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। ৯৪ কোটি ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত চার জাহাজের তিনটি ইতোমধ্যে হস্তান্তর করেছে খুলনা শিপইয়ার্ড। অপর জাহাজটি ১৫ ডিসেম্বর হস্তান্তর করার দিন নির্ধারিত রয়েছে।

খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম এস করিম (ই) পিএসসি বিএন জানান, এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য ভাসানচরে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই চুক্তির অংশ হিসেবে ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ খুলনা শিপইয়ার্ডে এই জাহাজ নির্মাণ কাজের সূচনা হয়। ইতোমধ্যেই চলতি বছরের ১২ জুন দুটি ও ৭ নভেম্বর তৃতীয় জাহাজটি হস্তান্তর করা হয়েছে।

খুলনা শিপইয়ার্ডের জিএম (প্লান অ্যান্ড এস্টিমেট)  মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ভাসানচরের আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ এর আওতায় ল্যান্ড ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ) নামে চারটি ভ্যাসেল জাহাজ নির্মাণ কাজ শেষের পথে। প্রতিটি এলসিইউ এর দৈর্ঘ্য ৪২ মিটার। মাঝখানে চওড়া ১০ মিটার। গভীরতা ১.৮ মিটার। ওজন ৪১৫ টন। সর্বোচ্চ গতি ১২ নটিক্যাল মাইল, স্বাভাবিক গতি ১০ নটিক্যাল মাইল। এই জাহাজ একবার যাত্রা করে ১৫০০ নটিক্যাল চলতে সক্ষম। জাহাজটিতে ২৫ জন নাবিকের থাকার জন্য সার্বিক সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এর পাশাপাশি ২৮০ জন যাত্রী নেওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। জাহাজটিতে ১৫০ টন ত্রাণ সামগ্রী বহন করা সম্ভব।

রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিতে প্রস্তুত চার জাহাজ

জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ৩১২ কেটি টাকার ভাসানচর আশ্রয়ণ প্রকল্প-৩ বাস্তবায়নে কাজ করছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। এরই অংশ হিসেবে নৌবাহিনী চারটি এলসিইউ (জাহাজ) নির্মাণে খুলনা শিপইয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি করে। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নের এই প্রকল্পের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে চলতি নভেম্বরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারিত ছিল। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আশ্রয়ণ-৩ শীর্ষক প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন পায়। প্রকল্পের কার্যপত্রে বলা হয়, নোয়াখালী জেলার চর ঈশ্বর ইউনিয়নে ভাসানচরের অবস্থান। নোয়াখালী থেকে এর দূরত্ব ২১ নটিক্যাল মাইল।

আরও জানা গেছে, টেকনাফ ও উখিয়ায় স্থানীয় অধিবাসীর সংখ্যা যেখানে ৫ লাখ ৭ হাজার, সেখানে নতুন-পুরনো মিলিয়ে ১০ লাখ থেকে ১২ লাখ রোহিঙ্গা ওই এলাকায় আশ্রয় নেওয়ায় নানা ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে এবং পর্যটন এলাকা কক্সবাজারের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে বলেও প্রকল্প কার্যপত্রে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মূলত ভাসানচরের ভূমি উন্নয়ন ও সমুদ্রতীরের নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের জন্য সেখানে ১২০টি গুচ্ছ গ্রামে ১৪৪০টি ব্যারাক হাউজ ও ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এছাড়া থাকবে উপাসনালয়, নিরাপত্তার জন্য নৌবাহিনীর অফিস ও বাসভবন, অভ্যন্তরীণ সড়ক, পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, নলকূপ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামো এবং ওয়াচ টাওয়ার।

 

 

/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটে বান্দরবানে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধির পূর্বাভাস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
নানা কর্মসূচিতে পালিত হচ্ছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
ইন্দোনেশিয়ায় মধ্যরাতে ৬.৫ মাত্রার ভূমিকম্প
সর্বাধিক পঠিত
তাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
প্রাক-প্রাথমিক বন্ধই থাকছেতাপপ্রবাহে যেভাবে চলবে শ্রেণি কার্যক্রম
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
বিক্রি না করে মজুত, গুদামে পচে যাচ্ছে আলু
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে