X
বুধবার, ০৮ মে ২০২৪
২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চার বছর পর খুলনা মেডিক্যালে নিপাহ ভাইরাস রোগী

খুলনা প্রতিনিধি
১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৮:৫৯আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২০, ০৯:১৩

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গোপালগঞ্জ থেকে রাশিদা (২০) নামে এক নিপাহ ভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১১ জানুয়ারি থেকে তিনি এখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে ২০১৬ সালে সর্বশেষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত মাগুরার দুই জনকে খুমেকে ভর্তি করা হয়েছিল। তখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।  

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অতিমাত্রায় ছোঁয়াছে নিপাহ ভাইরাসে ৮০ শতাংশের বেশি রোগীর মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে। তবে এ ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কের চেয়ে বেশি দরকার সতর্কতা। নিপাহ ভাইরাস বিষয়ে শীত মৌসুমের শুরু থেকেই স্বাস্থ্য প্রশাসনের সচেতনতামূলক প্রচারণা চলেছে। এ কর্মসূচির কারণে গত দুই বছর খুলনা ও আশেপাশের এলাকায় কোনও নিপাহ ভাইরাস রোগী পাওয়া যায়নি।

খুমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. এস এম কামাল হোসেন বলেন, ‘গত ১১ জানুয়ারি এ হাসপাতালে গোপালগঞ্জ থেকে রাশিদাকে আনার পর তার পরীক্ষা নীরিক্ষা করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসকরা একমত হন তার শরীরে নিপাহ ভাইরাস রয়েছে। অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে সব রোগী থেকে আলাদা করে চিকিৎসা দিচ্ছেন। তাকে খুমেক হাসপাতালে মেডিসিন ইউনিট-১ এ ভর্তি রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নিপাহ ভাইরাস মূলত বাদুর থেকে ছড়ায়। খেজুরের কাঁচা রসে বাদুর বসে। তাই কাঁচা রসই মূলত নিপাহ ভাইরাসের অন্যতম প্রধান উৎস। বাদুর ছাড়াও শুকর-এর লালা ও পায়খানা থেকে নিপাহ ভাইরাস ছড়াতে পারে। এ ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে প্রথমত কাঁচা খেজুরের রস একেবারেই খাওয়া যাবে না। ভালোভাবে সেদ্ধ করে খেজুরের রস খেতে হবে। এছাড়া শুকর ও বাদুর-এর লালা ও পায়খানা লেগে থাকতে পারে এমন যে কোনও জিনিস সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলতে হবে।’

নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর বাবা মো. বাবুল হোসেন বলেন, ‘বারবার মাত্রাতিরিক্ত জ্বর আসছিল এবং অজ্ঞান হয়ে পরছিল রাশিদা। তাই তাকে ভালো চিকিৎসার জন্য খুলনায় নিয়ে আসি। এখানে আনার পর পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, রাশিদার দেহে নিপাহ ভাইরাস রয়েছে। আমরা গ্রামের মানুষ, কাঁচা রস আনন্দের সঙ্গে খেয়ে থাকি। এ থেকে এ ধরনের সমস্যার কথা আগে শুনিনি।’

রাশিদার স্বামী মো. শরিফুল ইসলাম সরদার জানান, এক মাস আগে খেজুরের রস কেনেন তিনি। এই রস তার পরিবারের ৪/৫ জন কাঁচা খায়। অন্যদের কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু রাশিদা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হন। শরিফুল জানান, তিনি ও তার শশুর কৃষি কাজ করে পারিবার চালান। তার বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরগোবর গ্রামে।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনায় এ বছর নিপাহ ভাইরাসে কেউ আক্রান্ত হয়নি। একজন মাত্র রোগী খুমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তিনি গোপালগঞ্জের বাসিন্দা। নিপাহ ভাইরাস নিয়ে খুলনার গ্রাম পর্যায়ে সচেতনতামূলক কাজ চলছে। স্বাস্থ্যকর্মীরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে এ ভাইরাস বিষয়ে সচেতন করছেন।

 

/এফএস/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আজ
নির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
উপজেলা নির্বাচননির্দেশ উপেক্ষিত হলেও কৌশলে সফল আ.লীগ
আমের মিষ্টি আচার বানাবেন যেভাবে
আমের মিষ্টি আচার বানাবেন যেভাবে
জিসিসি’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন
জিসিসি’র সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের নতুন দিগন্ত উন্মোচন
সর্বাধিক পঠিত
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ভিটামিন ডি কমে গেলে কীভাবে বুঝবেন?
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ব্যারিস্টার সুমনকে একহাত নিলেন চুন্নু
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
ছুড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করলাম: ভাবনা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
শনিবার স্কুল খোলা রাখার প্রতিবাদে শিক্ষকদের কর্মবিরতি ঘোষণা
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে রাজি হামাস, অগ্রহণযোগ্য বলছে ইসরায়েল