চুরির মামলায় সাজা ঘোষণার পর আবদুল হালিম নামে এক আসামি আদালতের কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গেছেন। সেখানে পুলিশ থাকলেও তাকে ধরতে পারেনি। সোমবার দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ পলাতক আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে।
আদালত সূত্র জানায়, গত ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে বগুড়ার শেরপুরে নিজাম উদ্দিন টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ থেকে কম্পিউটার চুরি হয়। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ খন্দকার নাজমুল হক ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানায় স্থানীয় গাড়িদহ গ্রামের মৃত হাফিজার রহমানের ছেলে আবদুল হালিম, আকরামপুর গ্রামের আবদুস সামাদের ছেলে আরিফ চৌধুরী ও বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ার মাহফুজার রহমানের ছেলে সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলাটি বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন ছিল।
সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুপ্রিয়া রহমান তার রায়ে আবদুল হালিম ও আরিফ চৌধুরীকে দেড় বছর করে ও সোহরাব হোসেনকে এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন। রায় ঘোষণার পরপরই আদালতের কাঠগড়া থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম লাফ দিয়ে পালিয়ে যান।
বগুড়ার কোর্ট ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ জানান, রায় ঘোষণার পরপরই সাজাপ্রাপ্ত আসামি আবদুল হালিম কাঠগড়া থেকে পালিয়ে গেছেন। তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় পুলিশের কোনও গাফিলতি না থাকায় কর্তব্যরত পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।