X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বগুড়ায় করোনা রোগীর চাপ সামলাতে শজিমেকেও ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু

বগুড়া প্রতিনিধি
৩০ জুন ২০২০, ২৩:৩৩আপডেট : ৩০ জুন ২০২০, ২৩:৫০


২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল, বগুড়া

বগুড়ায় করোনাভাইরাস ও উপসর্গে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। একমাত্র মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে একদিকে শয্যা সংকট অন্যদিকে অধিকাংশ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে সোমবার ৫০ শয্যার আইসোলেশনের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. শফিক আমিন কাজল ও ডা. খায়রুল বাশার মমিন জানান, সরকারি একমাত্র আইসোলেশন ইউনিট ২৫০ শয্যার মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে ১০টি আইসিইউসহ ১২৮ শয্যা রয়েছে। কিন্তু, এখানে প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসা দিতে গিয়ে ৮ জন চিকিৎসক, ৩০ জন নার্স, ল্যাবের টেকনোলজিস্ট, অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভারসহ প্রায় ৫৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় সীমিত সংখ্যক, চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে বিপুল সংখ্যক রোগীর সেবা দিতে তাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে। আইসোলেশনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অধিকাংশ করোনা আক্রান্তকে বাড়িতে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সোমবার আইসোলেশনে ১২৫ জন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এর মধ্যে ১২৫ জন করোনা পজিটিভ। এ অবস্থায় তারা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তেমন সহযোগিতা পাচ্ছেন না।

তবে বগুড়ার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোস্তাফিজুর রহমান তুহিন জানান, তারা আইসোলেশন ইউনিটে সাধ্যমতো সহযোগিতা করে আসছেন।

বগুড়া শজিমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. আবদুল ওয়াদুদ জানান, মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে স্থান সংকুলান না হওয়ায় তাদের এখানে ৫০ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট চালু হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি আইসিইউ রয়েছে। এখানে অক্সিজেনের সেন্ট্রাল লাইন পয়েন্ট রয়েছে ১৫০টি। সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৩ জন রোগী ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, একই ভবনে অন্যান্য রোগীর পাশাপাশি করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় নানা বাধা আসছে। এরপরও রোগীদের স্বার্থে আইসোলেশন ইউনিট চালু করা হলো। তবে মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন থেকে যেসব রোগীকে অন্যত্র রেফার্ড বা যাদের অবস্থা গুরুতর হবে কেবল তাদের এখানে ভর্তি করা হবে।

শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বগুড়া

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র জানায়, বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিট ও বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসা ফ্রি। বগুড়া শজিমেক হাসপাতাল পিসিআর ল্যাবে ফ্রি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এখানে দিনে দুটি প্লেটে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব।

সূত্রটি জানায়,পাশাপাশি বেসরকরি টিএমএসএস মেডিকেল কলেজ ও রফাতউল্লাহ কমিউনিটি হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য প্রথমে ২০

শয্যার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বর্তমানে ওখানে ১২০ শয্যা রয়েছে। এ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে দিনে ১৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা যায়।

একজনের নমুনা পরীক্ষা করতে সাড়ে তিন হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। এ কারণে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষ মোহাম্মদ আলী হাসপাতালের আইসোলেশন ও শজিমেক হাসপাতালে ভিড় করছেন। ভুক্তভোগী জনগণ অবিলম্বে সরকারি দুটি হাসপাতালের আইসোলেশনে শয্যা বৃদ্ধি ও ল্যাব মেশিন এবং জনবল বৃদ্ধি করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
খাড়িয়া ভাষা সংরক্ষণে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
কেমন চলছে ১৪ দলীয় জোট?
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
‘সরকারকে যারা চাপ দেবে তারা নিজেরাই যথেষ্ট চাপে রয়েছে’
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
মুক্তি পেলেন মামুনুল হক
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম