বরিশাল-ঢাকা নৌপথের মেঘনা নদীতে এমভি সুন্দরবন-১০ লঞ্চে ধাক্কা দিয়েছে এমভি মানামী। এতে দুটি লঞ্চই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করে ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত দুটি লঞ্চেরই যাত্রা স্থগিত করেছে বিআইডব্লিউটিএ। বুধবার (২৩ জুলাই) রাত সোয়া ২টার দিকে মেঘনা নদীর ইলিশা চ্যানেলে ঘটেছে এই ঘটনা।
সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাস্টার (চালক) মজিবর রহমান জানান, ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে তারা বরিশাল যাচ্ছিলেন। ওই চ্যানেলের মধ্যে এমভি মানামী লঞ্চটি সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে ওভারটেক করে চরে আটকে যায়। চর থেকে নামানোর জন্য ফুলস্পিডে লঞ্চটি পেছনের দিকে ধাবিত হয়। এসময় সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ওপর এমভি মানামী আছড়ে পড়ে। এতে সুন্দরবন-১০ লঞ্চের মাঝ বরাবরের কিছু অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। অপরদিকে মানামী লঞ্চের পেছনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মানামী লঞ্চের মাস্টার আসাদুজ্জামান নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, 'ভিএইচএফ-এ পেছনে যাওয়ার খবরটি সুন্দরবন-১০ লঞ্চকে অবহিত করা হয়েছিলে। কিন্তু গুরুত্ব না দেওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর লঞ্চ দুটি চালিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে বরিশাল নিয়ে আসা হয়। যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে।'
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার জানান, লঞ্চ দুটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ দুটি মেরামত করে যাত্রার জন্য উপযোগী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিআইডব্লিউটিএ’র ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত দুই লঞ্চের যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। দুটি লঞ্চই বুধবার সন্ধ্যায় বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেছিলে। অল্পের জন্য যাত্রীরা রক্ষা পেয়েছে। দুই লঞ্চে দুই হাজারের অধিক যাত্রী ছিল।