পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে জাহানারা বেগম নামের এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর খাদ্যনালী কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে নার্সের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নার্স শিরিন আক্তার বলেন, 'আমার ভুল হতেই পরে। এ ব্যাপারে জাহানারা বেগমের স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এরপরেও আমার বিরুদ্ধে কেনো অভিযোগ দিলো বুঝতে পারছি না।'
বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. প্রশান্ত কুমার সাহা বলেন, 'অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
জানা যায়, পটুয়াখালী উপজেলার নওমালা ইউনিয়নের বটকাজল গ্রামের সোহেল হাওলাদার স্ত্রী জাহানারা বেগম সম্প্রতি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তিনি মঙ্গলবার চিকিৎসার জন্য বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত নার্স শিরিন আক্তার তাকে ডিঅ্যান্ডসি করাতে বলেন। পরে শিরিন আক্তার নিজেই ডিঅ্যান্ডসি করা শুরু করেন। ডিঅ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে যায়। এসময় গাইনি বিশেষজ্ঞ কেউ উপস্থিত ছিলেন না। জাহানারা বেগমের খাদ্যনালী ছিদ্র হওয়ায় পর অনেক রক্তক্ষরণ হয় ও পেটের মধ্যে মলমূত্র ছড়িয়ে পড়লে তিনি অসুস্থ হয়ে পরেন । পরে তাকে দ্রুত বরিশালের একটি হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বজনরা।
ওই হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. শাহআলম তালুকদার বলেন, 'ডিঅ্যান্ডসি করার সময় জাহানারা বেগমের খাদ্যনালীর নিচের একাধিক অংশ ছিদ্র হয়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। মলমূত্র ত্যাগের জন্য তার পেটের বাইরে একটি ব্যাগ স্থাপন করা হয়েছে। তিন মাস পরে তার অপারেশন করা হবে।'
পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম শিপন বলেন, 'এগুলো গাইনি বিশেষজ্ঞদের কাজ, নার্সের কাজ না। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবো।'