X
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
১৫ বৈশাখ ১৪৩১

মোহাম্মদ নাসিমের আসনে বিজয়ী ছেলে জয়

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
১২ নভেম্বর ২০২০, ২২:২১আপডেট : ১২ নভেম্বর ২০২০, ২২:৫৪

ইঞ্জিনিয়ার তানভীর শাকিল জয়

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমের সিরাজগঞ্জ-১ (কাজিপুর ও আংশিক সদর) আসনে উপনির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হলেন তারই ছেলে প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়। নৌকা প্রতীকে ১ লাখ ৮৮ হাজার ৩২৫ ভোট (৫২ শতাংশ) পেয়ে তিনি বেসরকারিভাবে বিজয়ী হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী সেলিম রেজা পেয়েছেন মাত্র ৪৬৮ ভোট। বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দিনভর একনাগাড়ে ভোটগ্রহণের পর রাত ১০টায় এ ফল ঘোষণা করেন কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদ হাসান সিদ্দিকী।

সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম গত ১৩ জুন মারা গেলে এ আসনটি শূন্য হয়।

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, সদরের একাংশ ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত এ আসনে ভোটার তিন লাখ ৪৫ হাজার ৬০৩ জন। পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ৬৪১ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৭৩ হাজার ৯৬২ জন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ আসনের ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ চলে।

উল্লেখ্য, এ আসনে ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হয়েছিলেন তানভীর শাকিল জয়। তার বাবা মোহাম্মদ নাসিমের মনোনয়নপত্র বাতিল হলে তিনি নির্বাচনে ডামি প্রার্থী থেকে দলীয় মনোনয়ন পান এবং বিজয়ী হন। পরের মেয়াদে তার বাবা মোহাম্মদ নাসিম আবার প্রার্থী হলে তিনি আর নির্বাচনে অংশ নেননি। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম। তবে করোনায় আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হলে আসনটির উপনির্বাচনে আবারও দলীয় মনোনয়ন পান তানভীর শাকিল জয়। জয়ী হয়ে আসনটিতে দাদা-বাবাদের জয়ের ঐতিহ্য ধরে রাখলেন তিনি। তার দাদা ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম বিশ্বস্ত সেনানী, রাজনৈতিক নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত অস্থায়ী সরকারের অন্যতম কাণ্ডারি। ১৯৭২ সালে এই আসন থেকেই ক্যাপ্টেন মনসুর আলী বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভায় স্থান পান। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই ক্যাপ্টেন মনসুর আলীসহ জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করে জেলখানায় বন্দি করা হয়। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি প্রকোষ্ঠে ওই বছরের ৩ নভেম্বর তাদের পৈশাচিকভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করে মোশতাক সরকার। সে ঘটনায় ক্ষুব্ধ সিরাজগঞ্জবাসী এরপর থেকে এই পরিবারটিকে এই আসনে সমর্থন দিয়ে আসছে। ভোটের ফলগুলো এর সাক্ষ্য বহন করে।

/টিএন/এমওএফ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
বুন্দেসলিগায় গোলের রেকর্ডে চোখ কেইনের
বুন্দেসলিগায় গোলের রেকর্ডে চোখ কেইনের
শ্রমিকরাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখে: স্পিকার
শ্রমিকরাই অর্থনীতির চাকা সচল রাখে: স্পিকার
নোয়াখালীতে গরমে অসুস্থ এক শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী
নোয়াখালীতে গরমে অসুস্থ এক শিক্ষকসহ ১৫ শিক্ষার্থী
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
গানে গানে সরকারের সমালোচনা, ইরানি গায়কের মৃত্যুদণ্ড
সর্বাধিক পঠিত
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
ভূমি ব্যবস্থাপনায় চলছে জরিপ, যেসব কাগজ প্রস্তুত রাখতে হবে
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
এমন আবহাওয়া আগে দেখেনি ময়মনসিংহের মানুষ
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
ইমিগ্রেশনেই খারাপ অভিজ্ঞতা বিদেশি পর্যটকদের
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
স্কুলে আসার আগেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন শিক্ষক
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে
মিয়ানমারে গিয়ে সেনা ট্রেনিং নিলেন ২ রোহিঙ্গা, বাংলাদেশে ঢুকলেন বুলেট নিয়ে