X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সেশনজটের শঙ্কায় রাবির ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী

তৌসিফ কাইয়ুম, রাবি
০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:৫২আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২০, ২৩:৫৫




রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর গত জুলাই থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তবে অনলাইনে ক্লাস চললেও পরীক্ষা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সেশনজটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। করোনাকালে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ইতোমধ্যে ছুটি কমিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিভাগীয় শহরগুলোতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আগামী মার্চে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে স্বায়ত্তশাসিত চার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। করোনা পরবর্তী সময়ে সেশনজট কমাতে এখনও কার্যকরি কোনও পদক্ষেপ নেই রাবি প্রশাসনের। ভর্তি পরীক্ষা কবে নাগাদ হবে তাও চূড়ান্ত হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এখনই পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় ভয়াবহ সেশনজটের মুখে পড়বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাড়ে তিন মাস অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর রাবিতে ৯ জুলাই থেকে অনলাইন ক্লাস শুরু হয়। প্রথম দিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের উপরে থাকলেও, সময়ের সঙ্গে এটি কমতে থাকে। তাছাড়া অনেক শিক্ষকই নিজে থেকে অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছেন না।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে গত ২৭ অক্টোবর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের একমাস পেরিয়ে গেলেও এখনও সভা হয়নি।

শিক্ষা ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ভার্চুয়াল ক্লাস চলছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হলে কীভাবে এ সেশনজট কাভার করা হবে, সে বিষয়ে আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি।

ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, গত অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে রাবি গুচ্ছ পরীক্ষায় অন্যদের সঙ্গে অংশ নেবে না। এখানে ফিজিক্যালি উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা দিবে। ভর্তি পরীক্ষা বিষয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্যদ্বয়, ডিন ও কয়েকজন শিক্ষকের সমন্বয়ে একটি একটি সাব-কমিটি করা হয়েছে। তবে এখনও সাব-কমিটির মিটিং না হওয়ায় কবে নাগাদ পরীক্ষা হবে, কোন পদ্ধতিতে হবে, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ফারুকী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইন ক্লাস চললেও পরীক্ষা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়ে গেছেন। তাছাড়া কিছু শিক্ষক বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার কারণে অনলাইন ক্লাস নিতে পারছেন না। আবার শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হারও শতভাগ নয়। কবে নাগাদ ক্যাম্পাস খুলবে তাও বলা মুশকিল। এ অবস্থায় সেশনজট এড়ানো অসম্ভব।

তবে গ্রীষ্মকালীন ও সাপ্তাহিক ছুটি কমিয়ে এনে জট কিছুটা কমানো যেতে পারে বলে মনে করেন শিক্ষক সমিতির এ নেতা।

সেশনজট কমাতে বিভাগের শিক্ষকদের ভূমিকাই মুখ্য বলে মনে করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাাদক অধ্যাপক আশরাফুল আলম খান। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, করোনায় শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছেন, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। তবে এটি কাটানো যাবে। সেক্ষেত্রে বিভাগের ভূমিকাই মুখ্য। বিভাগের শিক্ষকরা চাইলে করোনকালে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব। শিক্ষকরা যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করে দশ মাসে একটি বর্ষ শেষ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে সেশনজট কাটিয়ে ৫ বছরে মাস্টার্স শেষ করা সম্ভব হবে।

সার্বিক বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

 

/টিটি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে বন্দরগুলোতে আমদানি-রফতানি বন্ধ
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
মে দিবসে রাজপথে স্লোগানমুখর শ্রমজীবীরা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
একাধিক রুশ অঞ্চলে ইউক্রেনের ড্রোন হামলা
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সিয়াম-পরীর গানের ভিউ ১০০ মিলিয়ন!
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’