গাজীপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্যানাসিয়া ক্লথিং গার্মেন্টস কারখানায় শরিফুল ইসলাম (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বিকাল পর্যন্ত বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করেছেন। সোমবার সকালে চৌধুরীবাড়ি এলাকার ওই কারখানার ভেতরেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন ওই শ্রমিক। গাজীপুর শিল্প পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুব্রত দেব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
শরিফুল ময়মনসিংহের সদর থানার পুটিয়ালী এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে এবং ওই কারখানার সুইং অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
এসআই সুব্রত দেব জানান, সোমবার সকালে শরিফুল কাজে যোগ দিয়ে কারখানা ভবনের পঞ্চম তলায় তার ব্যবহৃত মেশিনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন। এ সময় বাঁ হাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারখানার লোকজন তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সহকর্মী শরিফুলের মৃত্যুর খবর কারখানায় পৌঁছলে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। পরে নিহতের লাশ হাসপাতাল থেকে কারখানায় নিয়ে আসেন শ্রমিকরা। তারা শরিফুলের মৃত্যুর ঘটনার জন্য কারখানা কর্তৃপক্ষকে দায়ী করে সকাল ৮টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন। তারা কারখানার ভেতরেই অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এ সময় তারা নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ফারুক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশের মধ্যস্থতায় শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে শ্রম আইন অনুযায়ী সব পাওনাদি ঈদের আগেই নিহতের পরিবারকে প্রদানের ঘোষণা দেয় কারখানা কর্তৃপক্ষ। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে বেলা আড়াইটার দিকে তাদের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পরে কারখানার সামনে জানাজা শেষে দাফনের জন্য নিহতের লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন স্বজনরা। শরিফুল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোগড়ার কেনাকাটা গলি এলাকার ভাড়া বাসায় থেকে চাকরি করতেন।
