পঞ্চম ধাপে আগামী ৫ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়নে ভোট হবে। ইতোমধ্যে প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণার কাজ। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা নামক স্থানে ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান খান টিটুর নির্বাচনি ক্যাম্পে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ওই প্রার্থীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে হামলাকারী ও সুহিলপুর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য (মেম্বার) মহসিন খন্দকারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুজ্জামান খান টিটু অভিযোগ করে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় নির্বাচনি প্রচারকাজ চলাকালে সুহিলুপর ইউনিয়নের বর্তমান সদস্য মহসিন খন্দকার ও তার সমর্থকরা আমার নির্বাচনি অফিসটি ভাঙচুর করে। পরে আমি এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। পরে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’
তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচনি প্রচার কাজে বাধা ও অফিসে ভাঙচুরের ঘটনায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে আমি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজকুমার বিশ্বাস বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি ভাঙচুরের বিষয়টি স্বীকার করেছে। মহসিন খন্দকারকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি তাকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।’