পাবনায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী রুমানা পারভিন অন্তরাকে গুলি করে হত্যার দায়ে স্বামী আবদুল্লাহর মৃত্যুদণ্ড এবং এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আবদুল্লাহ পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের পশ্চিম জামুয়া গ্রামের আবদুল লতিফের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই আবদুল্লাহ অন্তরার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা এবং মোটরসাইকেল যৌতুক দাবি করেন। যৌতুক না দেওয়ায় অন্তরাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। এরই একপর্যায়ে ২০১৪ সালের ৩০ অক্টোবর রাতে আবদুল্লাহ আবার যৌতুকের জন্য অন্তরাকে চাপ দেন। যৌতুকের টাকা এনে দিতে অস্বীকার করলে আবদুল্লাহ তার বাবার ঘর থেকে বন্দুক এনে অন্তরাকে গুলি করেন। স্থানীয়রা এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত অন্তরার বাবা রফিকুল ইসলাম চার জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া এবং ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি খন্দকার আবদুর রকিব এবং আসামিপক্ষের ছিলেন অ্যাডভোকেট এসএম ফরিদ উদ্দিন।