বোন-ভাগ্নেকে পেটানোর অভিযোগে রাজীবপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আবু সামা দেওয়ান এবং তার দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে রাজীবপুর থানা পুলিশ। শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়ন থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
রাজীবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাহারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১৩ মার্চ রাজীবপুর সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য আবুসামা দেওয়ান তার মা রোকেয়া বেগমের কাছ থেকে জোর করে জমি লিখে নিচ্ছেন, এমন খবর পেয়ে তার বোন-ভাগ্নেরা রাজীবপুর সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে এসে বাধা দেন। এ সময় আবু সামা, তার ছেলে ও ভাই-ভাতিজারা মিলে বোন-ভাগ্নেদের মারপিট করেন। পরবর্তী সময়ে মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে আইনের আশ্রয় নেন ভুক্তভোগীরা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য আবু সামার ভাগ্নে হাসান আলী বাদী হয়ে ইউপি সদস্য আবুসামা দেওয়ানসহ চার জনের বিরুদ্ধে রাজীবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
আবু সামার ভাগ্নে ও মামলার বাদী হাসান আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার নানি রোকেয়া বেগমের নামে প্রায় ১৫ বিঘা জমি রয়েছে। ইতোপূর্বে আবু সামা এবং তার ভাইয়েরা মিলে সুকৌশলে ১০ বিঘা জমি লিখে নিয়ে সেগুলো বিক্রি করে দিয়েছে। বাকি জমিও লিখে নেওয়ার জন্য কৌশলে নানিকে নিয়ে সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে যান। আমরা তাতে বাধা দিলে তারা সবাই মিলে আমাদের মারপিট করেন। পরে সালিশ বৈঠক করেও এর কোনও সুরাহা না হওয়ায় স্থনীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শে আমরা আইনের আশ্রয় নিয়েছি।’
হাসান আলী আরও বলেন, ‘শনিবার বিকালে নানাবাড়ি উত্তর মরিচাকান্দি গ্রামে অনুষ্ঠিত মীমাংসা বৈঠক হয়। এ সময় মীমাংসার চেষ্টাকে অবমাননা করে ইউপি সদস্য আবু সামা দেওয়ান দলবল নিয়ে আবারও আমাদের মারতে উদ্যত হন। তারা বৈঠকে উপস্থিত সবার সামনে স্থানীয় গণ্যমান্যদের গালি-গালাজ করেন। পরে থানায় খবর দিলে আবু সামা ও তার ভাই আব্দুল বারী সরকারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তার আরেক ভাই হজরত আলীকে রাজীবপুর বাজার থেকে গ্রেফতার করা হয়।’
ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘মামলা হয়েছে। আবু সামা সহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’