গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘আজকের রাজনীতির একদিক অনেক চাকচিক্য। সেখানে উন্নয়ন আছে, পদ্মা সেতুর সৌন্দর্য আছে, লুটপাটের অর্থ বিদেশে পাচারও আছে, দেখে মনে হবে এটা ধনির বাংলাদেশ। আরেকটা চিত্র সাধারণ মানুষের ৯৫ শতাংশের দুর্দশার চিত্র। শ্রমিকরা পাওনা টাকা পায় না। বাজেটে শ্রমিক পাওনার বরাদ্দ হয় না। অথচ জনগণের টাকা পাচার হয়ে বিদেশে চলে যায়।’
রবিবার (৯ জুলাই) খুলনা সফরে এসে প্রধান আলোচক হিসেবে এসব কথা বলেন তিনি। তিনি খুলনায় ‘রাজনৈতিক সংকট ও গণতান্ত্রিক শক্তিসমূহের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় যোগদান করেন। নগরীর উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে এ সভা বেলা ১১টার দিকে শুরু হয়।
সাকি বলেন, ‘উন্নয়নে একদল লোক ধনি হচ্ছে। চাকচিক্য বাড়ছে। আর ৯৫ ভাগ মানুষ সংকটের মধ্যে পার করছেন। বানরের তৈলাক্ত বাশে ওঠা আর নামার মতো অবস্থা তাদের। টাকার মান অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসছে। শ্রমিক মেহনতি মানুষের পকেটই কাটা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষ সম্পদ তৈরি করে। আর সরকার বাজেটের নামে মানুষের পকেট কাটছে। লুটপাটকে নিয়মে পরিণত করেছে। প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ উপরমহলের ক্ষমতার সকল স্তরে ভাগ বাটোয়ারা করার পথ তৈরি করেছে এ সরকার। তাদের নানান অন্যায় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ২-৪ দিনের মধ্যে আমরা যুগপথ আন্দোলনের রূপরেখা প্রকাশ করতে যাচ্ছি। তা হবে একদফার আন্দোলন। আমরা সরকারের পদত্যাগ চাই, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই এবং দেশের রাষ্ট্র কাঠামোতে থাকা আইন কানুন বদলে যে জমিদারি আইন তৈরি করেছে এই জমিদারী আইনের পরিবর্তন চাই। এই সবগুলোই একই সুতোয় গাথা। তাই এগুলো মিলেই হবে একদফা। দেশে একটা নতুন রাজনৈতিক প্লাটফর্ম তৈরি করতে চাই। যেখানে শ্রমিক স্বার্থ, সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা হবে। তারা যাতে বেঁচে থাকতে পারে তার আইন তৈরি হবে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সভায় বিশেষ আলোচক ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু। সভাপতিত্ব করেন জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল।