সাতক্ষীরায় অষ্টম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও পুড়িয়ে হত্যার দায়ে নুরুল আমিন (২২) নামে এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ জুলাই) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জি আযম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি নুরুল আমিন পলাতক ছিলেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাজাপ্রাপ্ত নুরুল আমিন কলারোয়া উপজেলার গয়ড়া গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নুরুল আমিন একই এলাকার আব্দুল জলিল, খলিল, রুহুল আমিন, খায়রুল এবং রিপনের সহায়তায় ২০১২ সালের ৭ এপ্রিল সন্ধ্যা সাড় ৬টার দিকে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করেন। পরে ওই কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ে। একই সালের ২৮ অক্টোবর কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যা করে মরদেহ পলিথিনে মুড়িয়ে কলারোয়া হিজলদী চেকপোস্টের পাশে ফেলে পালিয়ে যান নুরুল আমিন। এ বিষয়ে কিশোরীর বাবা বাদি হয়ে ২০১২ সালের ৮ এপ্রিল কলারোয়া থানায় নুরুল আমিনসহ আবদুল জলিল, খলিল, রুহুল আমিন খায়রুল ও রিপনের নামে মামলা করেন।
মামলায় আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আদালতে সাক্ষ্য, প্রমাণ ও নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে প্রমাণিত হওয়ায় নুরুল আমিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। বাকি আসামিদে নথি পর্যালোচনার ভিত্তিতে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়।