কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এক যুবককে অপহরণ করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। সোমবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীরা তার পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে। রবিবার রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া এলাকা থেকে সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
অপহৃত যুবক টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালীপাড়া এলাকার আব্দুল রহিমের ছেলে আবুল হাশেম (২২)।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি মেম্বার মো. ইলিয়াস বলেন, ‘রবিবার রাত ১০টায় ৯নং ওয়ার্ড নোয়াখালীপাড়া এলাকার আবুল হাশেম নামে ওই যুবক প্রস্রাব করতে বাড়ি থেকে বের হয়। পরে বাড়ির লোকজন বের হয়ে দেখতে পান, একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী হাশেমকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। পরদিন পরিবারের কাছে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছে সন্ত্রাসীরা।’
অপহৃত যুবকের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার ছেলেকে পাহাড়ের সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যায়। আজ সন্ধ্যা ৭টার সময় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে এক লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে আবুল হাশেমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পেরেছি। সে বলেছে এক লাখ টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’
টেকনাফ মডেল থানার কর্মকর্তা (ওসি) জুবাইর সৈয়দ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্য মতে, গত নয় মাসে টেকনাফের পাহাড়ে ৯২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪২ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক ও ৫০ জন স্থানীয় বাসিন্দা। সর্বশেষ গত ২৬ এপ্রিল নয়াপাড়া ক্যাম্পের তিন শিশু অপহরণের শিকার হয়। পরে মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসে। এ ছাড়া গত ৩ মার্চ দুই শিশুকে অপহরণের ৮ ঘণ্টা পর ৭০ হাজার টাকা মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় অহরণকারীরা।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেচুয়াপ্রাং এলাকায় ক্ষেত পাহারায় থাকা চার কৃষককে অপহরণ করে পাহাড়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তারা ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরেন। ১৮ ডিসেম্বর টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার একটি পাহাড়ের ভেতর খালে মাছ ধরতে গিয়ে অপহরণের শিকার হন আট ব্যক্তি। পরে তারাও ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দিয়ে তারা ফিরে আসেন।