আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়ার সাতটি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং স্বতন্ত্র ৫৪ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় রিটার্নিং অফিসার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম আচরণবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেন। তিনি দুপুর পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার সাতটি আসনের মধ্যে বগুড়া-২, বগুড়া-৩ ও বগুড়া-৪ ক্ষমতাসীন দল মিত্রদের ছেড়ে দিয়েছে। ৫৪ জন প্রার্থীর মধ্যে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে ১০ জন, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনে সাত জন, বগুড়া-৩ (দুপচাঁচিয়া-আদমদীঘি) আসনে ১১ জন, বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে পাঁচ জন, বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনে পাঁচ জন, বগুড়া-৬ (সদর) আসনে পাঁচ জন এবং বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) আসনে ১১ জনকে প্রতীক দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাহাদারা মান্নান এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির গোলাম মোস্তফা বাবু (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির এনএম আবু জিহাদ (সোনালি আঁশ), তরিকত ফেডারেশনের আনোয়ার হোসেন (ফুলের মালা), খেলাফত আন্দোলনের নজরুল ইসলাম (বটগাছ), জাসদের হাসান আকবর আফজাল (মশাল), স্বতন্ত্র কেএসএম মোস্তাফিজুর রহমান (ঈগল), স্বতন্ত্র শাহাজাদী আলম লিপি (তলবা), স্বতন্ত্র ইয়াসির রহমতুল্লাহ ইন্তাজ (ট্রাক) এবং স্বতন্ত্র (সাবেক বিএনপি) মো. শোকরানা (কেটলি)।
বগুড়া-২ আসনে জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ এমপি (লাঙ্গল), বিএনএফের বরকত উল্লাহ (টেলিভিশন), তৃণমূল বিএনপির বজলুর রহমান (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মুনছুর রহমান শেখ (ডাব), স্বতন্ত্র (সাবেক বিএনপি) বিউটী বেগম (ট্রাক), স্বতন্ত্র আকরাম হোসেন (কাঁচি) এবং স্বতন্ত্র আল ফারাবী মো. নুরুল ইসলাম (বেঞ্চ)।
বগুড়া-৩ আসনে জাতীয় পার্টির নুরুল ইসলাম তালুকদার এমপি (লাঙ্গল), বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির আফরিনা পারভীন (একতারা), তৃণমূল বিএনপির আবদুল মোত্তালেব (সোনালি আঁশ), জাসদের আবদুল মালেক সরকার (মশাল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের তাজ উদ্দিন মণ্ডল (ডাব), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের রফিকুল ইসলাম সরদার (নোঙর), স্বতন্ত্র অজয় কুমার সরকার (কাঁচি), স্বতন্ত্র খাঁন মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ আল মেহেদী (ট্রাক), স্বতন্ত্র ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ (ঈগল), স্বতন্ত্র আফজাল হোসেন ও স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম (কেটলি)।
বগুড়া-৪ আসনে জাসদের একেএম রেজাউল করিম তানসেন এমপি (নৌকা), বাংলাদেশ কংগ্রেসের আশরাফুল হোসেন আলম (ডাব), জাতীয় পার্টির শাহীন মোস্তফা কামাল (লাঙ্গল), স্বতন্ত্র (সাবেক বিএনপি) জিয়াউল হক (ঈগল) এবং স্বতন্ত্র মোশফিকুর রহমান (ট্রাক)।
বগুড়া-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মজিবর রহমান মজনু (নৌকা), জাসদের রাসেল মাহমুদ (মশাল), বিএনএফের আল আসলাম হোসেন রাসেল (টেলিভিশন), ইসলামী ঐক্য জোটের নজরুল ইসলাম (মিনার) এবং বাংলাদেশ কংগ্রেসের মামুনার রশিদ (ডাব)।
বগুড়া-৬ আসনে আওয়ামী লীগের রাগেবুল আহসান রিপু এমপি (নৌকা), জাতীয় পার্টির আজিজ আহম্মেদ (লাঙ্গল), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির শহিদুল ইসলাম (আম), স্বতন্ত্র আবদুল মান্নান (ট্রাক) এবং স্বতন্ত্র সৈয়দ কবির আহম্মেদ (ঈগল)।
বগুড়া-৭ আসনে আওয়ামী লীগের মোস্তফা আলম (নৌকা), জাতীয় পার্টির এটিএম আমিনুল ইসলাম (লাঙ্গল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের মেহেরুল আলম মিশু (ডাব), জাসদের আবদুর রাজ্জাক (মশাল), জাতীয় পার্টির (জেপি) আবদুল মজিদ (বাই-সাইকেল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের এনামুল হক (ছড়ি), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির ফজলুল হক (আম), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মো. রনি (নোঙর), স্বতন্ত্র নজরুল ইসলাম (কেটলি), স্বতন্ত্র রেজাউল করিম বাবলু এমপি (ট্রাক) এবং স্বতন্ত্র (সাবেক বিএনপি) সরকার বাদল (ঈগল)।
এদিকে, প্রতীক বরাদ্দের পরপরই সাতটি নির্বাচনি এলাকায় প্রচারণা শুরু হয়ে যায়। ছাপাখানাগুলোতে পোস্টার, লিফলেট ও অন্যান্য প্রচার সামগ্রী ছাপানো শুরু হয়েছে। এ ছাড়া অনেক প্রার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্টার দিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। প্রচার মাইকগুলোও কাজ শুরু করেছে। এলাকার হোটেল, রেস্তোরাঁ, চা-স্টল সর্বত্রই ভোট, প্রার্থী ও প্রতীক নিয়ে আলোচনা চলছে।
