ট্রাস্ট ব্যাংকের ১৮৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৩ হাজার টাকা পরিশোধ না করায় রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) লিমিটেডের চার পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। আদালতের পেশকার মো. রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আরএসআরএম দেশের অন্যতম শীর্ষ ঋণখেলাপি প্রতিষ্ঠান, যার খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।
গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত চার জন হলেন, মিজানুর রহমান, মারজানুর রহমান, মো. আলাউদ্দিন ও মাকসুদুর রহমান।
আদালত সূত্র জানায়, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান মডার্ন স্টিল মিলস লিমিটেডের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক চট্টগ্রাম সিডিএ অ্যাভিনিউ শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়। নির্দিষ্ট সময়ে ওই টাকা ফেরত না পাওয়ায় গত বছরের ১১ এপ্রিল আদালতে ট্রাস্ট ব্যাংকের পক্ষে ওই শাখার ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহ মো. জাহেদ হোসাইন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ১৮৮ কোটি ২৬ লাখ ৫৩ হাজার ৩০৭ টাকা উল্লেখ করা হয়।
আদালত সূত্রে আরও জানা যায়, ঋণের বিপরীতে ব্যাংকের কাছে কোনও রকম স্থাবর সম্পত্তি সহায়ক জামানত হিসেবে দায়বদ্ধ নেই। ট্রাস্ট রিসিট এবং পার্সোনাল গ্যারান্টিতে এই ঋণ বিতরণ করা হয়েছিল। ঋণের পরিমাণ ২০১৫ সালে পুনর্গঠন এবং ২০১৯ সালে পুনর্বিন্যাসসহ তফসিল করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা পুনঃতফসিল সূচি অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করেননি। গত বছরের ১৬ জুলাই ব্যাংকের আবেদনের ভিত্তিতে বিবাদীদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গত ২৭ নভেম্বর বিবাদী মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমান উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। তবে ধার্য তারিখে ওই আবেদনকারীরা আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হননি। বৃহস্পতিবার আদালত বিবাদীদের বিদেশ যাওয়ার আবেদন না মঞ্জুর করেন।
অর্থঋণ আদালতের পেশকার মো. রেজাউল করিম বলেন, ‘বিবাদী মিজানুর রহমান ও মাকসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতে অন্তত ১০টি মামলা চলমান আছে। মামলাগুলোতে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দাবি করা টাকার পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা।’