চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় খেলার মাঠ থেকে এক যুবককে আটকের পর অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে আট পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারদিন মোস্তাকিম তাসিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী যুবকের বড় ভাই। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাতকানিয়া সার্কেল এএসপিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিতে আদেশ দিয়েছেন। মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জুবাইরুল ইসলাম রাশেদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলায় অভিযুক্ত সাতকানিয়া থানার আট পুলিশ সদস্য হলেন- পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতাউল হক চৌধুরী, এসআই মো. আব্দুর রহিম, এএসআই রেজাউল করিম, এসআই মোস্তাক আহম্মদ, এএসআই মো. ইকবাল হোসেন, এএসআই জহিরুল ইসলাম, এএসআই মহিউদ্দিন মানিক ও কনস্টেবল মো. কবির হোসাইন।
মামলার বাদী রাহাত হোসেন কফিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমার ছোট ভাই তানভীর হোসেন তুর্কি (২৫) গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায় স্থানীয় সাতকানিয়ার ঢেমশা ইউনিয়নের মাইজপাড়ায় খেলার মাঠে ক্রিকেট খেলছিল। সে সময় আট থেকে দশ জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্য তাকে আটক করে। এলাকাবাসী আটকের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ মারমুখী আচরণ এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তুর্কিকে থানায় নিয়ে যায়। তুর্কিকে দেখতে সন্ধ্যার কিছু পরে আমার আরেক ছোট ভাই হিরো গেলে তাকেও থানায় কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখে পুলিশ। পরে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
‘ওইদিন রাত ৮টার দিকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জানতে পারি, তুর্কির কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কয়েক ঘণ্টা পর সাতকানিয়া থানা পুলিশ তার কাছ থেকে একটি দেশি অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজ জব্দ করার কথা জানায়।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী জুবাইরুল ইসলাম রাশেদ বলেন, ‘বাদীর ভাইকে খেলার মাঠ থেকে ধরে নিয়ে মিথ্যা অস্ত্র উদ্ধার দেখিয়ে মামলা দেওয়ার অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সাতকানিয়া সার্কেল এএসপিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে সাতকানিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউল হক চৌধুরী বলেন, ‘তানভীর একজন সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে আগের সাতটি মামলা ছিল। এসব মামলায় সে পলাতক ছিল। তাকে সর্বশেষ বিল থেকে একটি অস্ত্র ও চার রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আমরা কাউকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসাইনি।’