গোপালগঞ্জে সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৬ এ তথ্য জানিয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিচুর রহমান বলেন, ‘১০ আগস্ট দায়ের করা সেনাবাহিনীর মামলায় এ পর্যন্ত চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আদালতে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।’
গ্রেফতার আসামিরা হলেন– সদর উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল হক শরীফ (লাচ্চু), একই গ্রামের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম কাজি, পুলিশ শরীফ ও মোস্তাক মোল্লা।
সোমবার গোপালগঞ্জ শহর থেকে লাচ্চুকে এবং গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে অপর তিন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
এদিকে, গ্রেফতার আতঙ্কে খালি হতে শুরু করেছে বিভিন্ন এলাকা।
উল্লেখ্য, ১০ আগস্ট আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশত্যাগে বাধ্য করার প্রতিবাদে এবং দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য গোপালগঞ্জে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা। এ সময় ওই মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। সেনা সদস্যরা যানজট ছাড়ানোর জন্য বিক্ষোভকারীদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলেন। সে সময় তাদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী গুলি চালায়। এতে এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়।
এ সময় বিক্ষোভকারীদের হামলায় সেনাবাহিনীর চার কর্মকর্তাসহ নয় সদস্য আহত হন। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর দুটি রাইফেল, ছয়টি ম্যাগাজিন ছিনিয়ে নিয়ে একটি গাড়িতে আগুন এবং দুটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় ২২ আগস্ট গোপালগঞ্জ সদর থানায় ১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাকসুদুল আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৩ হাজার ২শ অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বর্তমানে গোপীনাথপুরসহ আশপাশের এলাকার লোকজন গ্রেফতার আতঙ্কে রয়েছে।