ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় টানা ২২ ঘণ্টা ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। নেতাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। রোপণ করা আমন ফসল তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পানিবন্দি মানুষদের।
ওই এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। শুক্রবার বিকাল ৪টায় কিছুটা কমে বৃষ্টি আবার শুরু হয়। টানা বর্ষণে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া, গামারীতলা, ঘোঁষগাও, পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের কমপক্ষে ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় নেতাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করছে। ইতোমধ্যে নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে পুকুর এবং মাটির রাস্তা।
ঘোঁষগাও ইউনিয়নের আবুল কালাম জানান, নেতাই নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে নদীর আশেপাশের বাড়িগুলোতে পানি করেছে। ওইসব বাড়িতে রান্নাবান্না বন্ধ রয়েছে। খাবার পানি সংকটে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আখলাক উল জামিল জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নেতাই নদীর বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে আগামী দুদিনের মধ্যে এলাকার পানি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পুনর্নির্মাণ করা হবে।
ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত শারমিন জানান, যেসব এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে সেসব এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে আশ্রয়ের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।