সাতক্ষীরার শ্যামনগরের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দেওয়া সেই সোনার মুকুট চুরির ঘটনায় অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
শনিবার (১২ অক্টোবর) সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মুকুটটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছে। তবে চুরির সঙ্গে জড়িত ওই যুবককে এখনও শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। ওই যুবক স্থানীয় কেউ নয় বলেই ধারণা এলাকাবাসীর।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ ও পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলামসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। ঘটনার পর থেকে পুরোহিত দিলীপ মুখার্জীসহ অনেককে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
এর আগে সোনার মুকুট চুরির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিকে ধরিয়ে দিতে জেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।
সোনার মুকুটটির বিষয়ে যেকোনও তথ্য কিংবা কোনও ব্যক্তি এটি বিক্রি অথবা সোনার দোকানে গলানো বা ধরন পরিবর্তন করতে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা (০১৭১৫-২১২২৭৭) ও পুলিশ সুপার সাতক্ষীরাকে (০১৩২০-১৪২১০০) জানাতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কালিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুর রহমান জানান, মুকুট চুরির ঘটনায় মন্দিরের সেবায়েত জ্যোতি প্রকাশ চট্টোপাধ্যায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে শনিবার মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। মন্দিরের পুরোহিত ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ কয়েকজনকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যশোরেশ্বরী কালীমন্দির পরিদর্শনে এসে সোনার মুকুটটি পরিয়ে দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট থেকে ২টা ৫০ মিনিটের মধ্যে মুকুটটি চুরি হয়। এ ঘটনার পর মন্দিরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এক যুবককে মুকুটটি চুরি করে নিয়ে যেতে দেখা যায়।