বগুড়ায় সোনাতলার পাকুল্লা ইউনিয়নে যমুনা নদীর মির্জাপুর খেয়াঘাটে সেতু না থাকায় আশপাশের নয়টি চরের বিপুলসংখ্যক বাসিন্দা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। নির্বাচন এলে জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও পরবর্তী সময়ে ভুলে যান। অবিলম্বে ওই ঘাটে আরসিসি সেতু নির্মাণে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।
ভুক্তভোগীরা জানান, সোনাতলা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে পাকুল্লা ইউনিয়নের মাত্র এক কিলোমিটার পূর্বে যমুনা নদীর মির্জাপুর খেয়াঘাট। নয়টি চরের বাসিন্দা ছাড়াও বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও জামালপুর জেলার বিপুলসংখ্যক মানুষের যাতায়াত এ ঘাট দিয়ে। এই বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য একটিমাত্র ডিঙি নৌকা আছে। দিনের বেলা নৌকায় পারাপার হওয়া গেলেও রাতে ঝুঁকি নিতে হয়। অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকারও হতে হয়। আবার নৌকার জন্য দীর্ঘ সময় খেয়াঘাটে অপেক্ষাও করতে হয়। ফলে শিক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময় ক্লাসে উপস্থিত হতে পারেন না।
তারা আরও জানান, জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন এলেই প্রার্থীরা ঘাটে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও নির্বাচনের পর সেই অঙ্গীকার রক্ষা করেন না।
এ প্রসঙ্গে পাকুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়ামুল করিম লিংকন জানান, তার প্রতিষ্ঠানে নয় শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের অধিকাংশই আশপাশের বিভিন্ন চর থেকে আসে। তাদের মির্জাপুর খেয়াঘাট পেরিয়ে বিদ্যালয়ে আসতে হয়। খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ হলে এলাকাবাসীদের পাশাপাশি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হবে।
সোনাতলা উপজেলা প্রকৌশলী মাহবুবুল হক বলেন, ‘যমুনা নদীর মির্জাপুর খেয়াঘাটে সেতু নির্মাণ প্রয়োজন হলেও এটি ব্যয়বহুল প্রকল্প। এতে কমপক্ষে ১৫০ কোটি টাকা প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগ নিলে সেতু নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। এতে জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হবে।’