গোপালগঞ্জে সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে গোপালগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
হামলায় আহত এক শিক্ষার্থী তিন জনের নাম উল্লেখ এবং ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ২৩ জনের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকালে মামলাটি করেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জে সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে স্থানীয় সন্ত্রাসীদের হামলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী আহত হন। বৃহস্পতিবার রাতে গোপালগঞ্জ শহরের নতুন স্কুল রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আখ্যা দিয়ে প্রথমে এক শিক্ষার্থীকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে অন্য শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়। এ সময় আট শিক্ষার্থী আহত হন।
হামলায় আহত শিক্ষার্থীরা হলেন– সেলিম রেজা, মাহাদি হাসান, তাহমিদ, ইয়াজদানি আলী, মুয়াজ বিল্লাহ, ইমরান, আব্দুল্লাহ আল খালিদ ও আসাদুল্লাহ গালিব।
এ ঘটনায় আহত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থী সেলিম রেজা বাদী হয়ে মামলা করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান।
ওসি বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত শহরের ব্যাংকপাড়ার ইফতি মাহমুদ ও তার বাবা কবির মাহমুদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে দুজনকে জেলহাজতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’
এই হামলায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী গোপালগঞ্জ সদর থানায় এসে জড়ো হন। এ সময় তারা জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতারে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা থানায় এসে দোষীদের বিচারের আশ্বাস দিলে রাত ১টার দিকে শিক্ষার্থীরা থানা ছেড়ে ক্যাম্পাসে ফিরে যান।
মারাত্মক আহত ৫ শিক্ষার্থীকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।