ইসলামী ছাত্র সেনার সাবেক নেতা, মসজিদের ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে চট্টগ্রাম নগরীও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সোমবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এ অবরোধ কর্মসূচি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে।
সড়ক অবরোধের কারণে যানবাহন আটকে পড়ে যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করেছে।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বহদ্দারহাট-মুরাদপুর সড়ক সকাল ৯টা থেকে মাওলানা রইস উদ্দিনের হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন ইসলামী ছাত্র সেনার নেতাকর্মীরা। অবরোধের কারণে সড়কের দুই পাশে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। মুরাদপুর ও বহদ্দারহাট মোড়ে সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে এবং ইট-পাথর ফেলে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ অবরোধকারীদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে মুরাদপুর এলাকায় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হন। তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যান অবরোধকারীরা। পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান জানান, ‘আমরা ব্যস্ত আছি। এ বিষয়ে পরে আপডেট জানাবো।’
নগরীর সল্টগোলা ক্রসিং, দুই নম্বর গেট, জিইসি, নতুন ব্রিজ, একে খান গেটসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকার সড়কগুলোতে সুন্নি ছাত্র-জনতা সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়ক, চট্টগ্রাম রাঙ্গামাটি সড়ক ও চট্টগ্রাম খাগড়াছড়ি সড়কে সকাল ৯টা থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড, কাটিরহাট, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, ফটিকছড়ি, আনোয়ারা, বোয়ালখালী, পটিয়া, বাঁশখালী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়।
প্রসঙ্গত, গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলের হায়দরাবাদ আখলাছ জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম মাওলানা রইস উদ্দিনকে ‘মব’ সৃষ্টি করে গত ২৭ এপ্রিল গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের পর পুলিশের কাছে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। ওই রাতেই তার মৃত্যু হয়।