বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ির জনজীবন থমকে গেছে। জেলার চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদী এবং স্থানীয় খাল ও ছড়ার পানি বাড়তে শুরু করেছে।
রবিবার সকাল থেকে মাইনী নদীর পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের ১৫ গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দীঘিনালা লংগদু আঞ্চলিক সড়কের ইয়ারং ছড়ি এলাকায় পাহাড়ধসে মাটি ও গাছ পড়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া এ সড়কের কয়েকটি নিচু স্থানে পানি ওঠায় যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
এদিকে, ভারী বর্ষণে গুইমারা উপজেলার ছড়ার পানি বেড়ে জালিয়াপাড়া নিচের বাজারে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে জেলা সদরের শালবন, ভুয়াছড়ি, গুগড়াছড়িসহ বিভিন্ন এলাকায়। তবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্রমাগত বর্ষণে বিচার কাজ বিঘ্নিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অনবরত পানি পড়ায় বিচারক, আইনজীবী ও বিচার প্রত্যাশীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। চিফ জুটিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট আদালতের বিদ্যুতের মিটারের ভেতরেও পানি প্রবেশ করে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার জানান, বন্যা ও পাহাড়ধস মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষজনের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। সেখানে খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হচ্ছে।