অবশেষে এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত অন্তঃসত্ত্বা সেই নারীর (২৮) সিজারিয়ান অপারেশন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। তিনি একটি ছেলেসন্তান লাভ করেছেন। অপারেশন কার্যক্রম শেষে ওটি (অপারেশন থিয়েটার) কক্ষ ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের লেবার ওটি কক্ষে রবিবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা অপারেশন শুরু হয়, চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। হাসপাতালের ওটির একটি বেডে প্রসূতিকে আলাদা একটি কক্ষে রাখা হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. জেসমিন সুলতানার নেতৃত্বে সাত সদস্য বিশিষ্ট মেডিক্যাল টিম এই অপারেশনে অংশ নেন।
এইডসে আক্রান্ত ওই প্রসূতি ৩৬ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। তার ব্যবসায়ী স্বামী এইডসে আক্রান্ত। স্বামীর থেকে তিনি এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, এইচআইভি রোগে আক্রান্ত ওই অন্তঃসত্ত্বার সিজারিয়ান অপারেশন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিল যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ। ২৮ মে তার সিজার করার প্রাথমিক দিন থাকলেও নানা জটিলতার কারণে আজকের দিনে (১ জুন) তাকে সিজার করা হবে বলে হাসপাতাল থেকে জানানো হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হলেও মানবিক কারণে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেয় যশোরের স্বাস্থ্য বিভাগ।
গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘এ ধরনের অপারেশন করার পর ওটি জীবাণুমুক্ত করতে ৪৮-৭২ ঘণ্টা বন্ধ রাখতে হয়। পাশাপাশি এইচআইভি আক্রান্ত কারও অপারেশন করতে হলে ওই রোগীর শরীরের রক্ত এবং পরিষ্কার করা পানিকে খুব সতর্কতার সঙ্গে ভাইরাসমুক্ত করার প্রক্রিয়া করা জরুরি। সেই কারণে আমরা অপারেশন ভাইরাস বিনষ্টের প্রসিডিউর করছি।’
এ বিষয়ে যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ড. নাজমুস সাদিক রাসেল বলেন, ‘সিজারিয়ান অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। প্রসূতি একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছে। সিজার চলাকালে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সহযোগীদের রিস্ক থাকলেও পরবর্তী সময়ে অন্য রোগীদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।’