ঈশ্বরদী রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় (ইপিজেড) ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। গত কয়েক দিনে পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পেটের অসুখ, বমি ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কণা খাতুন (২৫) একজনের মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, শ্রমিক কণা ইপিজেডের আইএইচএম কোম্পানির কর্মী ছিলেন। শনিবার কর্মস্থলের খাবার ও পানি গ্রহণের পর তিনি অসুস্থ হন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে রবিবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে মারা যান। তার স্বামীও একই প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক।
বৃহস্পতিবার থেকে রেনেসাঁ, নাকানো, এ্যাবা, রহিম আফরোজ, অস্কার বাংলা, আইএইচএমসহ একাধিক প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের মধ্যে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ে। আক্রান্তদের অনেকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ইপিজেড মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন। গুরুতর অসুস্থদের রাজশাহী ও পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রবিবার দুপুর পর্যন্ত ৫০০ শতাধিক রোগী বেশি রোগী আউটডোর ও প্রাইভেট চেম্বারে চিকিৎসা নিয়েছেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, ইপিজেডে সরবরাহকৃত পানি পান করার পরই এই সমস্যা দেখা দেয়। যদিও ইপিজেড কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউজের পানি, খাওয়ার জন্য নয়। পানি পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠানো হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আলী এহসান বলেন, ‘এই পরিস্থিতির সঠিক কারণ বলা কঠিন। বেশির ভাগ শ্রমিক তাদের খাবার বাসা থেকে নিয়ে আসেন। আক্রান্তদের চিকিৎসা ও মেডিক্যালের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ টিম আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
ডায়রিয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম প্রাথমিকভাবে নিরাপদ পানি পান না করার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘ইপিজেডে ব্যবহৃত পানি মূলত শিল্প-কারখানায় ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত। তবে শ্রমিকদের অসতর্কতায় অনেকেই এই পানি পান করে থাকেন, যা ডায়রিয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে।’