চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের জহুরপুর সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রামবাসীর হাতে আটক ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার (৪ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নাজির হোসেন বলেন, ‘৫৩ ব্যাটালিয়নের আওতাধীন জহুরপুর বিওপির অর্থাৎ নায়ারণপুর ইউনিয়নের সাত রশিয়া গ্রামে এক বিএসএফ সদস্যকে এলাকাবাসী আটক করেছে। সাতরশিয়া গ্রামটি ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি হওয়ায় এলাকাবাসী গরু বা ছাগল চরাতে চরাতে ভারতীয় সীমান্ত এলাকার দিকে চলে যায়। প্রায় সময় বিএসএফ এইসব গরু-ছাগলকে তাড়া দেয়। কিন্তু আজ সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ছাগলকে তাড়া দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে এক বিএসএফ সদস্য। এই সময় গ্রামবাসী তাকে আটক করে বিজিবির সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরে বিজিবির সদস্যরা এসে বিএসএফের সেই সদস্যকে উদ্ধার করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যান।’
বিজিবি জানায়, বুধবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়ন বিজিবি জহুরপুর বিওপির একটি টহল দল টহল দিচ্ছিল। সে সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর ইউনিয়নের সাতরশিয়া নামক স্থান থেকে ৭১ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের নুরপুর ক্যাম্পের গনেশ মূর্তি নামে সিনিয়র কনস্টেবলকে মদ্যপ অবস্থায় অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে বিজিবি হেফাজতে নেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিজিবি-বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় এবং আটক বিএসএফ সদস্যকে বিধি মোতাবেক হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়া পতাকা বৈঠকে অবৈধ অনুপ্রবেশের ব্যপারে বিজিবির পক্ষ থেকে জোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
৫৩ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু বলেন, ‘বুধবার সকালে ৫৩ বিজিবির আওতাধীন জহুরপুর বিওপি এলাকা থেকে এক বিএসএফ সদস্যকে এলাকাবাসী আটকে রাখে। পরে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে আটককৃত বিএসএফ সদস্যকে ফেরত দেওয়া হয়।’
সে সময় তার কাছে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।