চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত যুবক (২৭) নগরীর হালিশহর এলাকার বাসিন্দা। মঙ্গলবার (১০ জুন) বেসরকারি এপিক হেলথ কেয়ারে পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়।
এর আগে ৪ জুন, ৬ জুন ও ৯ জুন করোনা পরীক্ষায় চট্টগ্রামে চার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। তাদের মধ্যে দুই জন নারী।
চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন একজন। চট্টগ্রামে ২০২০ সালে প্রথম করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। এরপর দুই বছরে ১ লাখ ২৯ হাজার ৫১৭ জন রোগী চিকিৎসা নেন। মারা যান ১ হাজার ৩৭০ জন।’
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সভা
করোনার সম্ভাব্য সংক্রমণ মোকাবিলায় স্বাস্থ্যখাত সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। একই সঙ্গে তিনি জনগণকে সচেতন থাকার এবং মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
বুধবার নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক জরুরি প্রস্তুতি সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এসব কথা বলেন। সভায় সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র জানান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়— এই চারটি প্রতিষ্ঠানে আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা রাখা হবে। এছাড়া, র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট নগরীর বিভিন্ন স্থানে এবং চসিকের ম্যামন টু হাসপাতালে করানো যাবে।
চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল এবং চসিকের মেমন-২ হাসপাতালকে করোনার জন্য ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে দ্রুত প্রস্তুত করতে এবং চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশনা দেন তিনি।
মেয়র বলেন, ‘করোনার ক্ষেত্রে সচেতনতা সবচেয়ে বড় অস্ত্র। সবাইকে মাস্ক পরতে হবে, সাবান দিয়ে নিয়মিত হাত ধুতে হবে, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছোঁয়াচে এই ভাইরাস মোকাবিলায় আমাদের আগেই প্রস্তুত থাকতে হবে।’
সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি সার্ভিস সেন্টার চালু করার ঘোষণাও দেন মেয়র, যেখানে নাগরিকরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সহায়তা নিতে পারবেন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রূ মারমা, চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ তসলিম উদ্দীন, সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আকরাম হোসেন ও চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা।
উপস্থিত ছিলেন– চসিকের সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এস এম সারোয়ার আলম, চিকিৎসকবৃন্দ এবং অন্যান্য কর্মকর্তা।