পঞ্চগড়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক যুবক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রবিবার গভীর রাতে জেলার সদর উপজেলার হারিভাসা ইউনিয়নের ঘাগড়া সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে।
রবিবার দুপুরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলছে পুলিশ। নিহতের দুই পায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে।
নিহত যুবকের নাম রাজু (৩০)। তার বাড়ি হাড়িভাষা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গভীর রাতে রাজু সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে যাওয়ার সময় গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বাসায় আসলে তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।
বিএসএফের গুলিতে মৃত্যুর ঘটনায় রাজুকে দেখতে শত শত লোক বাড়িতে ভিড় করে।
হাড়িভাষা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈয়েদ নুরে আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে রাজুর বাসায় এসে দেখি তার দুই পায়ে গুলি লেগেছে। সীমান্ত এলাকায় সাধারণত বিএসএফের গুলিতেই এরকম ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবিকে খবর দেওয়া হলে বিজিবি দায় এড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে বিএসএফের গুলির কারণেই গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হওয়ায় তাকে বাঁচাতে পারেননি পরিবারের লোকজন। ঘাগড়া ঝুলিপাড়া এবং সাধুপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ইতোপূর্বে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে।’ এখানে তারকাটার বেড়া না থাকা এবং বিজিবির দুর্বলতাকে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি।
পঞ্চগড় সদর থানার এসআই কাইয়ুম আলী জানান, রাজুর লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতেই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ বদরুদ্দোজা বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নয়, রাজু হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে নিশ্চিত হয়েছি। তারপরও বিষয়গুলো আমরা তদন্ত করে দেখছি।’