বগুড়ার গাবতলীতে বিলের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের মারামারির সময় প্রতিপক্ষের মারপিটে জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল (৫০) নামে এক বিএনপি নেতার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সকালে উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া সরকারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে নেওয়ার পথে জুয়েল মারা যান। এ ঘটনায় তার প্রতিপক্ষের আহত যুবদল নেতা রেজাউল করিমসহ তিন জনকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বজন ও গ্রামবাসীরা জানান, জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান ইউনিয়নের সোনাকানিয়া সরকার পাড়ার মনসের সরকারের ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। গ্রামের একটি বিলের মালিকানা নিয়ে আত্মীয় মোফাজ্জল হোসেন সরকারের ছেলে ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিম ও অন্যদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এর জের ধরে রবিবার সকালে দু’পক্ষের মধ্যে লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মারামারি হয়। এতে জুয়েল ও প্রতিপক্ষের রেজাউল করিম, তার ভাই তালহা ও বোন ফেন্সি আহত হন। আহতরা বগুড়া শজিমেক হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা নেন।
স্বজনরা দাবি করেন, বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল প্রতিপক্ষের নিক্ষেপ করা ইটে বুকে ও পায়ে আঘাত পান। বিকালে তাকে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। স্বজনরা দাবি করছেন, প্রতিপক্ষের হামলায় তিনি মারা গেছেন।
প্রতিপক্ষ মহিষাবান ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল করিমের স্ত্রী সোনিয়া দাবি করেন, জুয়েলকে কেউ মারপিট করেনি। তিনি হৃদরোগী ছিলেন। কয়েকদিন আগে স্ট্রোক করেছিলেন। হৃদরোগেই তার মৃত্যু হয়েছে। বরং জুয়েলের পক্ষের ২০-২৫ জন লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে তাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে তার স্বামী, দেবর ও ননদ আহত হয়েছেন। তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় বগুড়ার গাবতলী থানার ওসি সেরাজুল হক ও সেকেন্ড অফিসার এসআই আসিফ ইকবাল বলেন, ‘মৃত বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলের মরদেহ বাড়িতে আনা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে, তিনি স্ট্রোকে মারা গেছেন। তার এক আত্মীয় চিকিৎসক। তিনি এসে পরীক্ষা করার পর যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেভাবে মামলা হবে।’