জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘একটা দেশের সংস্কার সিস্টেমগুলোর পরিবর্তন দু-চার বছরে সম্ভব নয়। কিন্তু নির্বাচনের আগে একটা লড়াইয়ের জন্য, স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য যে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন, তার ক্ষেত্রে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। এই নির্বাচনের আগে যে ভাইয়েরা জীবন দিয়ে, রক্ত দিয়ে নতুন বাংলাদেশ এনে দিয়েছেন, তাদের যারা হত্যা করেছে, ওইসব খুনিদের প্রশ্নে আমাদের বিন্দুমাত্র আপস থাকবে না।’
সোমবার সন্ধ্যায় পঞ্চগড় চেম্বার কনভেনশন হলে জাতীয় যুব শক্তির পঞ্চগড় জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় সারজিস আলম আরও বলেন, ‘জুলাই মাসের জুলাই সনদ দেওয়ার ক্ষেত্রেও আমাদের কোনও আপস থাকবে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আমরা দুর্বল সরকার হিসেবে দেখতে চাই না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিজেদের দুর্বল হিসেবে প্রকাশ করে, তাহলে এটি হবে জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে প্রতারণা।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগ যুব সম্প্রদায়কে মাদক সিন্ডিকেটে ব্যবহার করেছে, চাঁদাবাজিতে ব্যবহার করেছে। বিভিন্ন জায়গায় নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। যুবকদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য আমরা রাজনীতিতে নেমেছি। আমরা দেখছি, নতুন বাংলাদেশেও কিছু কিছু সংগঠন একই কাজগুলো করছে। আমরা মনে করি আওয়ামী লীগ ব্যতীত কেউ আমাদের প্রতিপক্ষ নয়। আমরা সবাইকে সহযোগী মনে করে প্রতিযোগিতায় নামতে চাই জনগণের কাজের জন্য। কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় কেউ যদি আগের একই রকম অপবাদের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে আমাদের তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।
‘আমরা স্পষ্ট করে বলি, জনগণের অভ্যুত্থান পরবর্তী যে আকাঙ্ক্ষা, সেটি এখনও পূরণ হচ্ছে না বলেই এই বাংলাদেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিকে রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে হয়েছে।’ আওয়ামী লীগ এবং তাদের অঙ্গসংগঠন বাদে কেউই এনসিপির প্রতিপক্ষ নয় বলেও জানান সারজিস।
এ সময় জাতীয় যুব শক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার মো. নেসার উদ্দিন, তানভিরুল বারী নয়নসহ এনসিপি ও যুবশক্তির পাঁচ উপজেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন। পরে জেলার পাঁচ উপজেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন সারজিস আলম ও অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।