X
শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
২০ বৈশাখ ১৪৩১

বরগুনার পাথরঘাটায় প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা, নিরব প্রশাসন

সুমন সিকদার, বরগুনা
১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৩আপডেট : ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৫৩

বরগুনা

বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য ঘাটসহ গ্রামীণ হাট-বাজার এবং পৌর শহরের অলিগলিতে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। স্থানীয় প্রভাবশালী ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের নেতৃত্বে জাটকা ব্যবসা পরিচালনায় গড়ে উঠেছে একটি সিন্ডিকেট।

এই সিন্ডিকেটের অধিনে পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্যঘাট থেকে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার হচ্ছে শত শত মন জাটকা। মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের তোরজোড় থাকলেও জাটকা নিধন প্রতিরোধে কোনও পদক্ষেপ নেই বললেই চলে। 

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম চলবে আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত। এই ৮ মাসের মধ্যে ৯ ইঞ্চি ছোট জাটকা ইলিশ পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য অধিদফতর। এ আইন অমান্য করলে ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা ২ বছরের জেল অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাটকা ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মৎস্য খ্যাত বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় ৯ ইঞ্চির কম সাইজের জাটকা ধরা, পরিবহন ও ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ হচ্ছে না। কিছু অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী এখান থেকে দেশের বিভিন্ন মোকামে  জাটকা সরবরাহ করে।

সরেজমিন পাথরঘাটার বিএফডিসি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রসহ পাথরঘাটা বাজার ও নিউমার্কেট রোড বাজার ঘুরে দেখা যায়, সেখানে ১৫ থেকে ৩০ জন মাছ বিক্রেতা আছেন। তারা প্রায় সবাই জাটকা ইলিশ বিক্রি করছেন। আবার কিছু অসাধু জাটকা বিক্রেতা নিরাপত্তার কথা ভেবে মোবাইলে যোগাযোগ করে পাথরঘাটা শহরের বাজারগুলোতে বিক্রি না করে গ্রামগঞ্জের বাজারগুলোতে জাটকা ইলিশ বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী জানান, পাথরঘাটা বিএফডিসি মৎস্য বাজারে প্রতিদিন গড়ে বড় ইলিশ ৪০ থেকে ৫০ মন এবং জাটকা ১৫ থেকে ২০ মন বিক্রি করা হয়। অনেক সময় কোস্টগার্ড ও উপজেলা মৎস্য প্রশাসন থেকে অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করা হলেও পরে আবার তারা বিক্রি শুরু করে। সম্প্রতি কোনও অভিযান পরিচালনা না হওয়ায় প্রতিদিন এখানে কম-বেশি জাটকা ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এর সঙ্গে কিছু অসাধু আড়ৎদারও জড়িত আছে বলে জানান একাধিক জেলে। তাদের ছত্রছায়ায় এই জাটকাগুলো ধরে মৎস্যবন্দরে এনে বড় মাছের ককসিডে ভর্তি করে পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।

এবিষয়ে পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের আড়ৎদার সমিতির সভাপতি নুরুল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘আড়ৎদাররা কোনও সিন্ডিকেট তৈরি করেনি। জেলেরা মাছ নিয়ে আসলে কিছু কিছু আড়ৎদার সেগুলো ক্রয় করে। না কিনলে তো জেলেদেরই ক্ষতি হবে।

তিনি আরও বলেন,‘কেউ ইচ্ছে করে জাটকা ইলিশ ক্রয় বা বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত না।’

বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহেদ আলী জানান, নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত বিশেষ কোনও অভিযান নেই, তবে  আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যহত আছে। কিছু অসাধু জেলে জাটকা শিকার করতে পারে, সে বিষয়ে আরও জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

 

 

/জেবি/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
‘তীব্র গরমে’ মারা যাচ্ছে মুরগি, অর্ধেকে নেমেছে ডিম উৎপাদন
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করলো তুরস্ক
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মারা যাওয়া ৮ যুবকের লাশের অপেক্ষায় স্বজনরা
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
‘বাংলাদেশ ও ভারত একই লক্ষ্যে এগোচ্ছে’
সর্বাধিক পঠিত
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
পদ্মা নদীতে চুবানো নিয়ে যা বললেন ড. ইউনূস
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
কুমিল্লায় বজ্রাঘাতে ৪ জনের মৃত্যু
আরও কমলো সোনার দাম
আরও কমলো সোনার দাম
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
লাউ খেলে মিলবে এই ৮ উপকারিতা
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি
কামরাঙ্গীরচরে নতুন ভবন নির্মাণের অনুমতি দিলো ডিএসসিসি