কুয়াকাটা-ঢাকা মহাসড়কে চলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস ধর্মঘট। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লাসহ সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বরিশালে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেয় পটুয়াখালী-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাস মালিক সমিতি। সকাল থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন কুয়াকাটায় আগত পর্যটকসহ দূরপাল্লার যাত্রীরা। এ ছাড়া প্রতিদিন যাতায়াতের জন্য নির্ভরশীল অফিসগামী কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরাও পড়েছেন বিপাকে।
কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা পর্যটক কায়সার রায়ান ও তানজিলা দম্পতি বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে খুলনা থেকে কুয়াকাটায় এসেছি। দুদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু রাতে খবর পেয়েছি আমাদের এক আত্মীয় অনেক অসুস্থ। তাই সকালে হোটেল থেকে বাসস্ট্যান্ডে এসে দাঁড়িয়েছি। এখন পর্যন্ত একটি বাসও ছাড়েনি। এখানে কাউন্টারে যারা রয়েছেন তারাও নিশ্চিত বলতে পারছে না কখন বাস ছাড়বে।’
অপর এক পর্যটক হাসান মাহমুদ বলেন, ‘দুই দিনের জন্য কুয়াকাটা ঘুরতে এসেছি। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে এসে জানতে পারি, ধর্মঘট চলছে। কখন ধর্মঘট ছাড়বে তার কোনও নিশ্চয়তা পাচ্ছি না। তাই হোটেলে ফিরে যাচ্ছি, রুম নিয়ে অপেক্ষা করবো। ধর্মঘট ছাড়লেই চলে যাবো।’
পটুয়াখালী-কুয়াকাটা রুটের হাসান এন্টারপ্রাইজ নামের বাসের চালক মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাস্তায় কোনও ধরনের কথা-কাটাকাটি হলেই ছাত্ররা গাড়ি ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ করে। বাস কর্মচারীদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের জানমালের কোনও নিরাপত্তা নেই। আমরা চাই যেকোনও সমস্যা সৃষ্টি হলে তার টেবিলে সমাধান হোক, রাস্তায় ভাঙচুর ও হামলার মধ্যে দিয়ে নয়।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, ‘গতকাল (মঙ্গলবার) বিভাগীয় পর্যায়ের বাস মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সমাধান হয়নি। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা পেলেই আমরা বাস চলাচল শুরু করবো।’