X
বুধবার, ০১ মে ২০২৪
১৮ বৈশাখ ১৪৩১

রাঙামাটির একমাত্র শিশু পার্কটি পড়ে আছে অযত্নে

রাঙামাটি প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:০৫আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, ১৮:২৮

Rangamati Park pic (2)

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হিসেবে খ্যাত রাঙামাটিতে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান থাকলেও শিশুদের  বিনোদনের জন্য নেই কোনও শিশু পার্ক। জেলা শহরের একমাত্র শিশু পার্কটিতে ২০০৫ সালে তৎকালিন পৌর চেয়ারম্যান একটি কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিলে স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্লোবাল ভিলেজে’র পক্ষ থেকে হাইকোর্টে রিট করা হয়। পরবর্তীতে আদালত পার্কের মালিকানা জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করে।এটিকে পূর্ণাঙ্গ পার্ক হিসেবে গড়ে তুলে শিশুদের বিনোদন উপযোগি করার নির্দেশ দেন।

শহরের একমাত্র শিশু পার্কটি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায় শিশু-কিশোরদের খেলাধূলা যেমন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তেমনি ভিতরে প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড।

এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে পার্কটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায় দিন দিন এটি অপরাধীদের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে পরিণত হচ্ছে। তারা জানান, দিনের বেলায় মাদকসেবিরা এখানে আড্ডা দেয়। এছাড়া পার্কের পাশ দিয়ে স্কুল-কলেজে যাওয়ার সময় ছাত্রীদের নানাভাবে টিজ করে বখাটেরা। দ্রুত পার্কটির সংস্কারের দাবি জানান তারা। পার্কটি দ্রুত চালু করার জন্য বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবি সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

Rangamati Park pic (4)

হাইকোর্টে রিটকারী পরিবেশবাদী সংগঠন গ্লোবাল ভিলেজের নির্বাহী পরিচালক ফজলে এলাহী বলেন, ‘কমিউনিটি সেন্টার করার বরাদ্দ ছিল শিশু পার্কের নিচের অংশ থেকে। অর্থাৎ মূল পার্কটিকে ঠিক রেখেই এর পরিকল্পনা আর অর্থায়ন হয়েছিল। কিন্তু পৌর চেয়ারম্যানের এক নিকটাত্মীয় কাজটির ঠিকাদার হওয়ায় পার্কটির মূল জায়গার উপরেই কমিউনিটি সেন্টারের নির্মাণ কাজ শুরু করে। আমরা এর প্রতিবাদ করি। কিন্তু চেয়ারম্যান তাতে সাড়া না দিয়ে কাজ এগিয়ে নিতে থাকেন। এক পর্যায়ে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। এলাকার লোকজন পার্কটি পৌর কর্তৃপক্ষের বলে জানত। কিন্তু রিট করার পর বিভিন্ন কাগজ-পত্র দেখে বুঝতে পারি আসলে পার্কটি পৌরসভার নয়। এটির প্রকৃত মালিক জেলা প্রশাসন। কোর্ট পার্কটির মালিকানা জেলা প্রশাসনের হাতে দিয়ে এটির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন। পৌরসভা স্থাপনা উচ্ছেদ করে ঠিকই কিন্তু এরপর পার্কটি সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

শহরের শিশু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈয়বিয়া আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আখতার হোসেন চৌধুরী জানান, শিশুদের বিনোদনের একমাত্র পার্কটি সংস্কারহীন পড়ে থাকায় শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে শিগগিরই এটির সংস্কার শুরু হবে। এটি সংস্কারের জন্য পূর্ববর্তী জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন উন্নয়ন বোর্ডের কাছে প্রায় দুই কোটি টাকার একটি প্রকল্প জমা দেন। সেই পরিপ্রেক্ষিতে  উন্নয়ন বোর্ড প্রাথমিক পর্যায়ে ৪৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি। আর এটি যেহেতু লেক তীরবর্তী সে হিসেবে এটি পর্যটকদের জন্য বিনোদনের অন্যতম স্থান হবে বলে মনে করেন তিনি।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ঢেউয়ের আঘাতে ছিটকে পড়ে সাগরে নিখোঁজ জেলে
ঢেউয়ের আঘাতে ছিটকে পড়ে সাগরে নিখোঁজ জেলে
মোসাদ্দেকের মতে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার আবাহনী
মোসাদ্দেকের মতে চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার আবাহনী
মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নারী নিহত
মিরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শিশুসহ নারী নিহত
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
লাইয়ের অভিষেক পরবর্তী চীনা সামরিক মহড়া নিয়ে সতর্ক অবস্থানে তাইওয়ান
সর্বাধিক পঠিত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চকরিয়ার সেই সমাজসেবা কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী বরখাস্ত
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
চুয়াডাঙ্গা জেলায় ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
সাতক্ষীরার ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড 
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে ভেঙেছে ঘরবাড়ি, ধানের ক্ষতি
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’
‘মানুষের কত ফ্রেন্ড, কাউকে পাশে পাইলে আমার এমন মৃত্যু হইতো না’