খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা উপজেলা ইউপিডিএফ এর সমন্বয়ক সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা (কাথাং) কে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ইউপিডিএফ ও জনসংহতি সমিতি (এম এন লারমা) একে অপরকে দোষারোপ করছে। এই ঘটনায় স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ইউপিডিএফ এর জেলা সংগঠক মাইকেল চাকমাকে হত্যা ও গোলাগুলির ঘটনায় ইউপিডিএফ (বর্মা) গ্রুপ ও জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপকে দায়ী করেছেন। তবে জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) গ্রুপের জেলা তথ্য ও প্রচার সম্পাদক সুধাকর ত্রিপুরা হত্যাকাণ্ডে তাদের সংগঠনের কারো জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে হতে পারে।’
ইউপিডিএফ এর নেতারা অভিযোগ করেন, তাদের নেতা সুনীল ত্রিপুরা (৪০) ও তার এক সহকর্মী পরেশ ত্রিপুরাসহ কয়েকজন রবিবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে খাগড়াছড়ি জেলা পানছড়ি উপজেলা উল্টোছড়ি ইউনিয়ন মরাটিলা এলাকায় একটি দোকানে বসে ছিলেন। এসময় পানছড়ির দিক থেকে সিএনজিতে করে আসা ৮/১০ জন সন্ত্রাসী তাদের লক্ষ্য করে ব্রাশ ফায়ার করে। ঘটনাস্থলেই সুনীল বিকাশ ত্রিপুরা নিহত হন। অনন্ত ত্রিপুরা (২৫) নামের একজন পায়ে গুলিবিদ্ধ হন। এসময় পরেশ ত্রিপুরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। স্থানীয়রা জানান, প্রায় ১৫ মিনিট ধরে তারা গুলির শব্দ শুনেছেন।
এই ঘটনার প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি), হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও গনতান্ত্রিক যুব ফোরাম খাগড়াছড়ি জেলা শাখা। রবিবার বিকাল ৫টায় মিছিলটি খাগড়াছড়ি জেলা সদর উপজেলা গেট থেকে বের হয়ে নারাঙহিয়া রেড স্কয়ার হয়ে স্বনির্ভর বাজার শহীদ অমর বিকাশ চাকমা সড়কে গিয়ে এক প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
এ ঘটনায় সুনিল বিকাশ ত্রিপুরা কাতাং পিতা- সুকেন্দ্র ত্রিপুরা নামের ইউপিডিএফর মাটিরাঙ্গা ও গুইমারা অঞ্চলের সংগঠক নিহত এবং অনন্ত ত্রিপুরা (২৯) নামে আরো একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
পানছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, একজনের নিহত হওয়ার এবং এজনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, 'এই ঘটনায় এখনও কোনও মামলা হয়নি। কেউ মামলা করতে আসলে আমরা গ্রহণ করবো।'