কক্সবাজারের টেকনাফের সীমান্ত থেকে অস্ত্রসহ আটক বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপির) এর চার সদস্যকে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে তাদের মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফি করেন টেকনাফ ২নং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান। তিনি বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাতে নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর তীর সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশ করায় বিজিবির টেকনাফ ২ ব্যাটালিয়ানের একটি টহল দলের সদস্যরা ওই চার জনকে অস্ত্রসহ আটক করেছিল। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়। পরে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বুধবার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে বিজিপির এ ৪ সদস্যকে মিয়ানমারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওই চারজন হলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর নাগকুড়া ব্যাটালিয়নের মেগচিং ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন লি উইন কো ম্যায়েং (৩০), সার্জেন্ট ইয়ানাং তুন (৩১), সার্জেন্ট প্যায়াং গি (২৫) ও সিপাহী ক্য ক্য (২৮)।
গত ২৫ আগস্ট রাতে টেকনাফের নাজিরপাড়া সংলগ্ন নাফ নদীর তীর সীমান্ত থেকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় বিজিবির সদস্যরা ওই চারজনকে আটক করেছিল। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি এমএ-১১ রাইফেল, ১০টি গুলি, একটি টর্চলাইট এবং ৫ টি মোবাইল। জব্দ করা হয় বিজিপির সদস্যদের বহনকারী একটি স্পিড বোট।
মিয়ানমারের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির পুলিশের ১ নম্বর সেক্টরের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ক্য উইং। আর বাংলাদেশের ১২ সদস্যের পক্ষে নেতৃত্ব দেন কক্সবাজার ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ, টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান। বৈঠক উভয় দেশের সীমান্ত সংক্রান্ত নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দল বিজিপি সদস্যদের অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করে ।