দেশের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া ১০টি বিশেষ উদ্যোগের সুফল পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগ শুধু আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী বা বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদের জন্য নয়। একক কোনও সম্প্রদায়ের জন্য নয়। দেশের সব নাগরিকের জন্য। একথা আগে আমাদের অন্তরে ধারণ করতে হবে। তবে এ নিয়ে বিভ্রান্তি দূর হয়ে যাবে।’
শনিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগের প্রতিবেদন প্রকাশের লক্ষ্যে চট্টগ্রামের স্থানীয় সাপ্তাহিক একুশে পত্রিকার সঙ্গে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘দেশে এখন শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু ও দারিদ্র্যর হার কমেছে। ২০০৬ সালে শতকরা ৪২ জন দরিদ্র ছিল, এখন সেটা ২০-এ নেমে এসেছে। ১০টি উদ্যোগের ফলে সাধারণ মানুষ যে সুফল পেয়েছে, এসব গণমাধ্যমে তুলে ধরা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।’
একুশে পত্রিকার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)-র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. নুরুল আলম নিজামী, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা ধারণা আছে, সরকারের উন্নয়ন নিয়ে লেখা মানে দালালি করা। দেশে উন্নয়ন হচ্ছে, এটা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ সবক্ষেত্রে অগ্রগতি লাভ করেছে। দেশকে অর্থনৈতিকভাবে একটি উন্নত দেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে।’
বর্তমানে লোডশেডিং নেই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে শেখ হাসিনা যখন ক্ষমতা ছাড়লেন, তখন বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। ২০০৮ এর নির্বাচনের পর ক্ষমতা গ্রহণের সময় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৩ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। এক হাজার মেগাওয়াট নেই। আজকে লোডশেডিং নেই বললেই চলে। তবে সঞ্চালন লাইনের কারণে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।’
পরে দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। বাসসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ এবং একুশে পত্রিকার পক্ষে পত্রিকাটির সম্পাদক আজাদ তালুকদার সমঝোতা স্মারকে সই করেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী ১০টি বিশেষ উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে—একটি বাড়ি একটি খামার, আশ্রয়ণ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন কার্যক্রমসমূহ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমসমূহ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশু বিকাশ, বিনিয়োগ বিকাশ, ও পরিবেশ সুরক্ষা।