চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে ভোট কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করছি। খবর পেয়েছি বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পেয়েছি এজেন্টদের কার্ড ছিড়ে তাদের বের করে দেওয়া হয়। পরে আমি তাদের আবার কেন্দ্রে প্রবেশ করানোর ব্যবস্থা করেছি।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০ টায় চকবাজার বিএড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।
বিএনপি মনোনীত প্রার্থী আরও বলেন, এসব অনিয়ম ও অন্যায় কার্যক্রম বন্ধে কমিশনের কর্মকর্তাদের আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। প্রিসাইডিং কর্মকর্তার দেখার দরকার ছিল কেন একজন প্রার্থীর কোনও এজেন্ট নেই। তিনি সেই দায়িত্ব পালন করেননি। নির্বাচন আয়োজনে প্রার্থীর এজেন্টরাও কমিশনের অংশ হিসেবে কাজ করেন। তাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া কমিশনের দায়িত্ব ছিল।
সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য তিনি কমিশনকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানান।
এরআগে, সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটস্থ নিজ বাড়ির পাশে এখলাছুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে ইভিএমে ভোট দেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এর আগে, বাবা-মায়ের কবর জেয়ারত করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
২০২০ সালের ২৯ মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ষষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকায় নির্বাচনের আট দিন আগে তা স্থগিত করা হয়। এরপর পরিস্থিতির উন্নতি বিবেচনায় ২৭ জানুয়ারি ভোটের দিন ঠিক করে নির্বাচন কমিশন। এবার মেয়র নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিএনপির দুই প্রার্থীর বাইরে আরও পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্য প্রার্থীরা হলেন এনপিপি’র আবুল মনজুর (আম), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের এম এ মতিন (মোমবাতি), স্বতন্ত্র প্রার্থী খোকন চৌধুরী (হাতি), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের মুহাম্মদ ওয়াহেদ মুরাদ (চেয়ার) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জান্নাতুল ইসলাম (হাতপাখা)।
এদিকে, ৪১টি সাধারণ কাউন্সিলর ও ১৪টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হয়েছেন ২৩৭ জন। এবার ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডের প্রার্থী তারেক সোলেমান সেলিম মারা যাওয়ায় সেখানে কাউন্সিলর নির্বাচন হবে না। তবে ওই ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোটগ্রহণ হবে।
অন্যদিকে, ১৮ নম্বর পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত হারুন অর রশিদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাই এই ওয়ার্ডেও এবার কাউন্সিলর পদে নির্বাচন হচ্ছে না। নগরীর ৩৯টি ওয়ার্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ৩৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৩৪টিতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
আরও পড়ুন:
কেউ অন্যের ভোট দিতে পারবেন না: নওফেল
চসিক নির্বাচন: ভোট দিলেন আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী
লালখান বাজারে কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৩