X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৭ আষাঢ় ১৪৩২

সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে তিন জেলে অপহরণের শিকার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
০১ মার্চ ২০২১, ২১:২৬আপডেট : ০১ মার্চ ২০২১, ২১:৩৮

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়ে স্থানীয় তিন জেলে অপহরণের শিকার হয়েছেন। জেলে ছদ্মবেশী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা তাদের অপহরণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

অপহরণের প্রায় তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও জেলেদের ছেড়ে দেয়নি অপহরণকারীরা। তবে অপহরণের এক সপ্তাহ পর অপহৃত ব্যক্তিদের পরিবারে অজ্ঞাত মোবাইল ফোন নম্বর থেকে মুক্তিপণের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছে।  

অপহৃত তিন যুবক হলেন সাবরাং লাফার ঘোনা দক্ষিণ নয়াপাড়া এলাকার আব্দুল গণির ছেলে মোহাম্মদ ইয়াছিন, মোহাম্মদ কাসিমের ছেলে দিলদার মিয়া ও কচুবনিয়া এলাকার মোহাম্মদ শফির ছেলে সলিম উল্লাহ।

অপহৃত জেলে মো. ইয়াছিনের বাবা আব্দুল গণি বলেন, ‘গত ১১ ফেব্রুয়ারি জেলে আতাউর রহমান আমার ছেলেসহ দুই জনকে তার মালিকানাধীন ট্রলারে করে সাগরে মাছ শিকারের কথা বলে নিয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবে মাছ শিকারে গেলে তারা তিন বা চারদিন সাগরে অবস্থান করে। কিন্তু এক সপ্তাহ পরও তারা ফিরে না আসায় আমাদের পক্ষ থেকে ট্রলার মালিক আতাউরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি আমার ছেলেসহ তিন জনকে সাগরে রোহিঙ্গা ডাকাতরা ধরে নিয়ে গেছে বলে জানান।’

আব্দুল গণি আরও বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, আতাউর রহমানের ট্রলারে তিন জন স্থানীয় জেলে ছাড়াও আরও ছয় জন রোহিঙ্গা জেলে ছিল, সেটি তিনি নিজেও আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন। তাই ট্রলারে থাকা ওই রোহিঙ্গা জেলে ছদ্মবেশীরা কৌশলে আমার ছেলেসহ স্থানীয় তিন জেলেকে ডাকাতের হাতে তুলে দিয়েছেন কিনা তাও বলা যাচ্ছে না। এছাড়া ট্রলার মালিক আতাউর রহমানের কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তাও বলতে পারছি না। তার ট্রলারে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় ছয় জন রোহিঙ্গা নাগরিক থাকার বিষয়টি আমাদের আতঙ্কিত করছে বেশি।’

অপহৃত ছলিম উল্লাহর পিতা মোহাম্মদ শফি বলেন, ‘মাছ ধরার নাম দিয়ে আমাদের সন্তানদের রোহিঙ্গা ডাকাত অথবা অপহরণকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের ধারণা, এ ঘটনার সঙ্গে আতাউর সরাসরি জড়িত থাকতে পারে। এখন অপহরণকারীরা বিশাল অঙ্কের মুক্তিপণ দাবি করছে, যা আমাদের পক্ষে পূরণ করা অসম্ভব। আমরা বিষয়টি সীমান্তে দায়িত্বরত বিভিন্ন বাহিনীকে অবহিত করার পাশাপাশি টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।।তারা আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছে।’

ট্রলার মালিক সাবরাং এলাকার বাসিন্দা আতাউর রহমান বলেন, ‘এলাকার তিন জেলেসহ ৯ জন জেলে নিয়ে আমার ট্রলারটি সাগরে মাছ শিকার করতে গিয়েছিল। এ সময় মিয়ানমার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে রোহিঙ্গা ডাকাতরা ছয় জনকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। অন্য তিন জেলে ট্রলারটি চালিয়ে শাহপরীর দ্বীপ ঘোলার চরে ভেড়ে। তবে আমার ট্রলারের ৯ জেলের মধ্যে ছয় জন রোহিঙ্গা ছিল এটা সত্য। এ ব্যাপারে আমি স্থানীয় বিজিবিকে অবহিত করেছি।’

/আইএ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি: এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
ব্রহ্মপুত্রে নৌকাডুবি: এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ ২
জুলাই সনদ ঘোষণাসহ তিন দাবিতে ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ পদযাত্রা
জুলাই সনদ ঘোষণাসহ তিন দাবিতে ‘মার্চ ফর জুলাই রিভাইভস’ পদযাত্রা
পোশাক কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
পোশাক কারখানায় শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও একজন গ্রেফতার
ইউএসএআইডির অনুদান বাতিলের সিদ্ধান্তে মৃত্যুঝুঁকিতে দেড় কোটি মানুষ: গবেষণা
ইউএসএআইডির অনুদান বাতিলের সিদ্ধান্তে মৃত্যুঝুঁকিতে দেড় কোটি মানুষ: গবেষণা
সর্বাধিক পঠিত
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
সঞ্চয়পত্রে কমলো মুনাফার হার, কার্যকর ১ জুলাই থেকে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলনঅন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’