X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২
প্রশাসনে থামছে না আন্দোলন

অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা মুখোমুখি

শফিকুল ইসলাম
৩০ জুন ২০২৫, ২২:০০আপডেট : ০১ জুলাই ২০২৫, ০০:০৯

সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিকে কেন্দ্র করে অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা এখন মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে। কাজে যোগ দিতে সরকারের অনুরোধ, নানা ধরনের সুপারিশ, আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি কিছুই মানছেন না তারা। কাজে যোগ না দিয়ে সারা দিন নিজ নিজ দফতরে আন্দোলন-সংগ্রাম করে অফিস সময় শেষ করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন তারা। দিনের পর দিন চলছে এমন অবস্থা। এতে সরকারের কাজ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। নাগরিকরা তাদের প্রাপ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সচিবালয় সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

জানা গেছে, ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ কোনও সংশোধন নয়, পুরোটা বাতিল করতে হবে- এই দাবিতে আন্দোলন এখনও চলছে। এ বিষয়ে এখনও কোনও সুরাহা করতে পারেনি সরকার। দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই অবস্থা। সেই থেকেই সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সরকারের জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনসহ প্রায় সব সরকারি অফিসে কর্মপরিবেশ, শৃঙ্খলা, চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখা, সবশেষে নাগরিকসেবা দেওয়া অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অপরদিকে একইভাবে দীর্ঘদিন আন্দোলনের ফলে অকার্যকর সংস্থায় পরিণত হয়ে পড়েছিল সরকারের প্রধান অর্থ জোগানদাতা সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর পুনর্গঠন ও রাজস্ব সংস্কার বিষয়ে ১১ দফা দাবিতে তারা কর্মবিরতির পালন করেছেন। সরকার এনবিআরের সব স্তরের চাকরিকে অত্যাবশ্যকীয় সার্ভিস ঘোষণা করলেও তা মানছেন না তারা। কাজে যোগদান না করলে সরকার কঠোর হতে বাধ্য হবে- এমন নির্দেশ উপেক্ষা করে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ নেতারা। দুই মাস ধরে এনবিআরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা পৃথকীকরণের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে আসার পরে ২৯ জুন মধ্যরাতে এর একটা সুরাহা হয়েছে। এনবিআর কর্মকর্তারা কাজে যোগ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন আন্দোলনের ফলে দেশের রাজস্ব আহরণ, আমদানি-রফতানি কার্যক্রম এবং বাজেট বাস্তবায়নে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে ব্যবসায়ী মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তারা।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আন্দোলনে সমাধান এসেছে বলে মনে করা হলেও ভেতরে তাদের মধ্যে ক্ষোভ জমা রয়েছে। এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ‘মার্চ টু এনবিআর’ ও পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দিয়েছে। দেশের সব কর অঞ্চল, কাস্টম হাউজ ও শুল্ক স্টেশনেও কাজে ফিরেছে। কিন্তু এনবিআরের আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ৬ কর্মকর্তার বিষয়ে দুদক যে অনুসন্ধান শুরু করেছে। তাতে তারা কিছুটা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্যত তারা সরকারের হুমকিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে কাজে ফিরলেও মননে কিন্তু অন্য কিছু কাজ করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা মানসিক অস্থিরতায় আছে। এমন পরিস্থিতিতে কার্যত অনেকটাই মুখ থুবড়ে পড়েছে সরকারের পুরো প্রশাসন।

প্রায় একই সময়ে গ্রেডসহ বিভিন্ন দাবিতে মাঠে ছিলেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা পুরো মে মাসজুড়ে কর্মবিরতিসহ নানা ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করেছে। প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে গঠিত কনসালটেশন কমিটির বেতন গ্রেড নির্ধারণের প্রস্তাবনার পর নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন তারা। প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদ নামে গঠিত সংগঠনের ঘোষিত কর্মসূচির মধ্যে প্রতিদিন একঘণ্টার কর্মবিরতি, এরপর প্রতিদিন ২ ঘণ্টার কর্মবিরতি, এরপর অর্ধদিবস কর্মবিরতি এবং পরবর্তীতে লাগাতার পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে তারা। পরবর্তীতে গ্রেডের বিষয়টি বিবেচনার প্রতিশ্রুতি পেয়ে কাজে যোগ দিলেও সরকারের প্রতি তাদের মধ্যে এক ধরনের চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন না করলে আবারও ক্লাস ছেড়ে মাঠে নামতে পারেন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। এ ছাড়া তথ্য আপা প্রকল্পসহ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা বিভিন্ন দাবি আদায়ের নামে রাজধানীর পথঘাট আটকে আন্দোলন করছেন। সরকারের কোনও নির্দেশনাই তারা মানছেন না।  

একই সঙ্গে অন্য প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তরসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় পরিচালিত ‘তথ্য আপা’ প্রকল্পের কর্মীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- ১. প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন তথ্য আপা,  প্রকল্প (দ্বিতীয় পর্যায়)-এর জনবলকে পদ সৃজন করে রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করতে হবে। ২. কর্তনকৃত সব বেতন অন্যান্য ভাতা দ্রুত পরিশোধ করতে হবে। ৩. সমস্যা সমাধানে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসতে হবে এবং আত্তীকরণের রোডম্যাপ লিখিত প্রজ্ঞাপন হিসেবে দিতে হবে।

এই আন্দোলন প্রসঙ্গে তথ্য আপা প্রকল্পের কর্মীরা জানিয়েছেন, তারা যে প্রকল্পের অধীনে কাজ করছেন সেই প্রকল্প বন্ধ করা যাবে না। সরকারকে তিন দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি না মানলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তথ্য আপা প্রকল্পের আওতায় প্রায় দুই হাজার নারী মাঠপর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা দিয়ে আসছেন। জুনের পর প্রকল্পটির বর্ধিত মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে। তাই চাকরির স্থায়ীকরণের দাবিতে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।

এমন পরিস্থিতিতে সচিবালয়ের অভ্যন্তরীণ কর্মপরিবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। তারা বলছেন, এভাবে চলতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে চলমান এই সংকটের অবসান প্রয়োজন। সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলের দাবিতে কর্মচারীদের আন্দোলনের কারণে সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর সচিবালয়ের কর্মপরিবেশে দীর্ঘদিন ধরেই অচলাবস্থা বিদ্যমান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ২০১৮ সালের সরকারি চাকরি আইন সংশোধনে অধ্যাদেশের খসড়া নিয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছিলেন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ জন্য তারা আন্দোলনে নামেন। কর্মচারীদের আন্দোলনের মধ্যেই ২৫ মে রাতে অধ্যাদেশ জারি করে সরকার। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে।

আন্দোলনরত কর্মচারীরা এই অধ্যাদেশকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তাদের ভাষ্য, গত ২৫ মে রাতে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকা আইন অনুযায়ী কোনও কর্মচারীর অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে অন্তত সাত থেকে ৮টি ধাপ পার করতে হতো। ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আগে বিভিন্ন তদবিরে শাস্তি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়তো।

অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সর্বশেষ ঈদের ছুটির আগে তিন জুন পর্যন্ত সচিবালয়ে বিক্ষোভ করেছেন কর্মচারীরা। চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সরকারের সাত উপদেষ্টাকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তারা। ১৫ জুনের মধ্যে চাকরি অধ্যাদেশ বাতিল না করলে ১৬ জুন থেকে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দিয়েছিলেন কর্মচারী নেতারা। সেই থেকেই চলছে আন্দোলন।

জানা গেছে, অধ্যাদেশটির বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম একটি লিখিত বক্তব্য দিয়েছে। সংগঠনটির মতে, বহুল আলোচিত সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারির মধ্য দিয়ে বিভাগীয় মামলার পরিবর্তে শুধু একটি লেটার (চিঠি) দিয়ে সরকারি কর্মচারীকে চাকরিচ্যুতি বা দণ্ড দেওয়ার বিধান এখন কার্যকর। এর ফলে কিছু স্বার্থবাদী কর্মকর্তার কাছে কর্মচারীরা ব্যক্তিগত দাসে পরিণত হবেন, ক্ষমতার অপব্যবহার বেশি হবে, বিভিন্ন কারণে অপছন্দের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে নাজেহাল হবেন, চাকরি হারানোর সুযোগ তৈরি হবে, অপছন্দ হলে কর্মকর্তার রোষানলে পড়বেন, একজন অভিযোগকারী কর্মকর্তা নিজেই তদন্তকারী ও বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন, ভয়ভীতির কারণে সরকারি কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হবে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সুচিন্তিত সুপারিশ প্রণয়নের জন্য আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ।

এ প্রসঙ্গে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানিয়েছেন, আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে অপপ্রয়োগের সুযোগ রয়েছে। অপপ্রয়োগের সুযোগ থাকা কখনও প্রত্যাশিত ব্যাপার হতে পারে না। ভালো করে শোনা ও বোঝার জন্যই কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে অধ্যাদেশটি সংশোধন করা হবে।

আইন উপদেষ্টার এই বক্তব্যের পর সরকারের মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে কর্মচারী নেতারা জানিয়েছেন, এই কালো আইনের কোনও সংশোধন তারা মানবেন না। পুরো অধ্যাদেশটি বাতিল করতে হবে। কর্মচারী নেতাদের এমন কঠিন অবস্থান নেওয়ার মধ্য দিয়ে সরকার এক ধরনের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন। জানা গেছে, সরকারি কর্মচারীরা অধ্যাদেশটিকে নিবর্তনমূলক ও কালো আইন হিসেবে অবহিত করছেন। এটি বাতিল করার জন্য সচিবালয়ে বিক্ষোভ মিছিল, কর্মবিরতি, অবস্থান কর্মসূচি ছাড়াও কয়েকজন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেওয়ার মতো কর্মসূচি পালন করেছে তারা। 

তাই ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল করতে হবে- এই দাবিতে চলমান আন্দোলন এখনও চলছে। এ বিষয়ে কোনও সুরাহা করতে পারেনি সরকার। সেই থেকেই সরকারের শীর্ষ প্রশাসনিক দফতর বাংলাদেশ সচিবালয়সহ সব সরকারি অফিসে কর্মপরিবেশ, শৃঙ্খলা, চেইন অব কমান্ড ঠিক রাখা সবশেষে নাগরিকসেবা দেওয়া অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডের প্রস্তাবনা মেনে নিতে পারছি না। আমরা চাই, ন্যূনতম ১১তম গ্রেডে সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে বেতন নির্ধারণ এবং প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি। পাশাপাশি উন্নীত স্কেল ও উচ্চতর গ্রেডের সমস্যা সমাধান করে ১০ ও ১৬ বছরপূর্তিতে সহকারী শিক্ষকদের প্রথম ও দ্বিতীয় উচ্চতর গ্রেড প্রদানের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা যেন নেয় মন্ত্রণালয়। আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি।

সচিবালয়ে আন্দোলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম নেতা নুরুল ইসলামের মতে, সরকারি চাকরি অধ্যাদেশের ফলে নারী সহকর্মীদের ভীতসন্ত্রস্ত পরিবেশে কাজ করতে হবে, কেউ কেউ রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণেও চাকরিতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন, এমনকি কেউ কেউ ধর্মীয় রীতিনীতি পালনের কারণেও কর্মকর্তার রোষানলে পড়তে পারেন, দেশ ও জাতির সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্মচারীদের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা সংকুচিত হবে, কর্মচারীদের ন্যায্যতা-প্রাপ্যতার দাবিগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দারুণভাবে বাধার সৃষ্টি করবে, ব্যাপকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির জানান, দাবি না মানা হলে আরও বড় ধরনের কর্মবিরতি পালন করবো এবং সেই কর্মসূচিতে সারা দেশের সব অফিসের কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করে রাজপথে নামবো।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একজন সাবেক কেবিনেট সচিব নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, এভাবে সরকার প্রশাসন কোনোটাই চলতে পারে না। সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এর খেসারত দিতেই হবে।

/এমএস/এমওএফ/
সম্পর্কিত
নেতাদের মধ্যে মারামারি, সচিবালয়ে বিক্ষোভ
বিকালে এনবিআর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অর্থ উপদেষ্টা
মেট্রো স্টেশনের নিচ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুরে
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
দুর্ঘটনায় ছয় মাসে প্রাণ হারিয়েছে ৪২২ শ্রমিক
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
৪০ শতাংশ কৃষক পান না ন্যায্য মজুরি: জরিপ
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা ও মার্কিন পাল্টা শুল্ক বড় চ্যালেঞ্জ: বিজিএমইএ সভাপতি
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ
ইস্টার্ন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ