টানা তিন দিনের ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কক্সবাজারে ৪১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত বুধবার রাতভর ও বৃহস্পতিবারের (২৯ জুলাই) ভারী বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে জেলার দুই লাখেরও বেশি মানুষ। ডুবে গেছে জনপদ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাছের ঘের, পানের বরজ ও বিভিন্ন ফসলি জমি।
টানা বর্ষণ অব্যাহত থাকায় ভারী বর্ষণে পাহাড় ধস ও পানিতে ডুবে রোহিঙ্গাসহ ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে টেকনাফে ছয়, উখিয়ায় রোহিঙ্গাসহ নয়, মহেশখালীতে পাহাড় ধসে দুই ও ঈদগাঁওতে তিন জন মারা গেছেন। জেলার প্রধান নদী বাঁকখালী ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন জানায়, টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের ৪১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে ৫৫ হাজার ১৫০টি পরিবারের দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি পড়েছে। জেলার ৭১টি ইউনিয়ন ও চারটি পৌরসভার মধ্যে ৪১টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ তিন কোটি টাকা। প্লাবিত এসব এলাকায় ৩০টি আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কক্সবাজার সদর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৫৮ গ্রাম, রামু উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩৫ গ্রাম, চকরিয়া উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের ১০০ গ্রাম, পেকুয়া উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ছয় গ্রাম, মহেশখালী উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩৮ গ্রাম, উখিয়া উপজেলার দুইটি ইউনিয়নের ১২০ গ্রাম ও টেকনাফ উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ৫৬ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের দেওয়া এই তথ্যে কুতুবদিয়া উপজেলার প্লাবিত এলাকার সংখ্যা পাওয়া যায়নি। তবে কুতুবদিয়া উপজেলায় অন্তত ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ জানান, প্লাবিত এলাকার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ১৩৫ মেট্রিক টন চাল ও পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে। প্রয়োজনে জরুরি ভিত্তিতে আরও ত্রাণ বরাদ্দ দেওয়া হবে।