X
মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫
১৬ আষাঢ় ১৪৩২

প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে র‍্যাব: তথ্যমন্ত্রী

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা
২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১৮আপডেট : ২২ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১৮

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিপক্ষে যারা দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে, তারা র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে অনেক কথা বলছে। অথচ এই র‌্যাব বাংলাদেশে মাদক-সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছে। সেই কারণে বাংলাদেশে মাদক-সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ আমরা অনেক উন্নত দেশের তুলনায় কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘যারা আজকে র‌্যাবের ভূমিকা নিয়ে কথা বলছেন, তারা আসলে চান এখানে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের অভয়ারণ্য হোক এবং মাদক ছড়িয়ে পড়ুক। অন্যথায় র‍্যাবের বিরুদ্ধে এভাবে তারা ঢালাওভাবে কথা বলতে পারেন না।’

শনিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে নবীন আইনজীবীদের বরণ ও কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মুহাম্মদ এনামুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অ্যাডহক কমিটির সদস্য মো. মুজিবুল হক। অ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়াউদ্দিন। 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘র‌্যাবের কোনও সদস্য যদি ভুল করেন তাদের বিচার হয়েছে এবং হয়। যে কেউ ভুল করতে পারে, তাদের বিচার হয়, তদন্ত হয়, শাস্তিও দেওয়া হয়। র‌্যাবকে অব্যাহতভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমের অনেক দেশ কারিগরি সহায়তা দিয়েছে। ২০০৪ সালে বেগম খালেদা জিয়াই র‌্যাব প্রতিষ্ঠা করেছিল। তারা যখন সহায়তা দিয়েছে র‌্যাব তো তখন থেকে কাজ করছে, তখন তো এই প্রসঙ্গগুলো আসেনি। হঠাৎ এখন কেন আসছে, এটার পেছনে নিশ্চয়ই কিন্তু আছে।’

তিনি বলেন, ‘যখন কোনও দেশ এগিয়ে যেতে থাকে তখন আন্তর্জাতিক বিভিন্ন শক্তি সেদেশের পা টেনে ধরতে চায়। সেদেশের পা টেনে ধরার জন্য তখন মানবাধিকারসহ বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসে। অথচ তাদের দেশে মানবাধিকারের খবর নেই। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিখোঁজ হয়, গুলিতে মারা যায়। সেগুলো নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো কখনও বিবৃতি দেয় না। কয়েকদিন আগে জাতিসংঘের ইন্ডিপেন্ডেন্ট হিউম্যান রাইটস এক্সপার্ট যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, গুয়ান্তানামা-বে’তে যে বন্দি নির্যাতন হচ্ছে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে, সেই কারাগার বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সেটি নিয়ে তো কোনও মানবাধিকার সংগঠন বিবৃতি দেয়নি।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার দেশে ন্যায় ও আইনের শাসন, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ, ন্যায় ও জ্ঞানভিত্তিক বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে। যারা বন্দুক উঁচিয়ে গণতন্ত্র হরণ করে মানুষের লাশের ওপর পা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশ পরিচালনা করেছে, তারা যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে তখন আবার সেই অস্ত্রের ঝনঝনানি শুনতে পাই, আমরা আতঙ্কিত হই।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘দেশে বহুবার গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দি করা হয়েছে। বাংলাদেশে বারবার সামরিক শাসন জারি করে ক্যাঙ্গারো কোর্ট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। যেখানে সামরিক ট্রায়ালের মাধ্যমে মানুষকে বিচার করে ফাঁসি দেওয়া হতো। জিয়াউর রহমানের সময় অনেক সেনা অফিসার ও জওয়ানদের ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। কারাগারের মধ্যে সেনাসদস্য বন্দি, তাকে হঠাৎ লক খুলে ভোর রাতের আগে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সে প্রশ্ন করেছে, আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছো? জবাবে বলা হয়েছ, ফাঁসি দিতে। সেনা অফিসাররা তখন বলতেন, আমার তো কোনও বিচার হয়নি। তখন বলা হতো, বিচার হয়ে গেছে। এরকম বহুজনকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’

নতুন আইনজীবীদের অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন পেশাটা শুরুতে খুব কুসুমাস্তীর্ণ নয়, শুরুতে অনেক টানাপোড়েন থাকে। শুরুতে যারা অর্থের পেছনে দৌড়াবে তারা ভালো আইনজীবী হতে পারবে না। শুরুতে অর্থের পেছনে দৌড়ালে অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেতে হয়। সেটি ভালো আইনজীবী হওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়। সেজন্য আইন পেশাটা শুরুতে খুব কষ্টের। বাড়ি থেকে টাকা এনে চলতে হবে। সেটি নিয়ে অনেকের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকবে, এটি কিন্তু বাস্তবতা। কিন্তু যিনি ধৈর্য ধরে এই পেশায় লেগে থাকেন তিনি কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভালো আইনজীবী হন।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন, ন্যায় প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনজীবীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আইনজীবীরা সমাজের স্বাভাবিক নেতা। আবার মানুষকে আইনগত সহায়তা দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আইনজীবীরা যে ভূমিকা রাখেন, আমি মনে করি আইনজীবীদের ভূমিকার ওপর অনেকটা নির্ভর করে সমাজে ন্যায় ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা। সেজন্য আইনজীবী পেশায় সৎ থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

/এএম/

/এএম/এফআর/
সম্পর্কিত
শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে সাবেক সেনাসদস্যসহ ৫ সন্ত্রাসী গ্রেফতার, র‍্যাবের পোশাক উদ্ধার
মাদক মামলায় বের হয়ে এসে মাদকের টাকার জন্য বাবাকে খুন
এইচএসসি পরীক্ষা দিতে গিয়ে নিখোঁজ ছাত্রী সাভারে উদ্ধার
সর্বশেষ খবর
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
বাংলাদেশ নিয়ে দিল্লিতে সংসদীয় প্যানেলের বৈঠকে যা আলোচনা হলো
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
নতুন বন্দোবস্তের রাজনৈতিক দলের হাত ধরেই হবে বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ: আখতার
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জুলাইযোদ্ধাদের স্মরণে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বালন
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়লো
সর্বাধিক পঠিত
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
তিন বিমানবন্দরে ১৬ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ হচ্ছে
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
রূপপুর প্রকল্পের ১৮ প্রকৌশলী অপসারণ: হাইকোর্টের রুল
‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
এনবিআর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে অর্থ উপদেষ্টা          ‘ইউ আর পেইড বাই দ্য গভর্নমেন্ট’
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি স্ট্যাটাস উপদেষ্টা আসিফ ও সাংবাদিক জুলকারনাইনের
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা
আজ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা