বিয়ের আশ্বাসে ২০১৯ সাল থেকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে বান্দরবান ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর (৩৯) বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এক নারী। সোমবার (২৩ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী দিপঙ্কর দাশ গুপ্ত বলেন, ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ভুক্তভোগী। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসিকে মেডিক্যাল পরীক্ষাসহ যাবতীয় প্রমাণাদি সংগ্রহ করাসহ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই নারী ইসলামিক মিশনে কর্মরত। ২০১৯ সালে অভিযুক্তের সঙ্গে পরিচয় হয়। ২০১৯ সালের ৪ জুলাই বিকাল ৫টায় বাদীকে ডেকে বিয়ের আশ্বাসে অফিসে থাকা শয়নকক্ষে ধর্ষণ করে। ২০২২ সালের ১০ মার্চ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্তমানে বাদীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় ও তা কাউকে জানালে প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযুক্ত মীর মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ ছাড়া কোনও কথা কথা বলতে রাজি নন। তবে অফিসের একটি রুমকে শয়নকক্ষ হিসেবে ব্যবহার করে জানিয়ে বলে, ‘অফিসের ভেতর আমার শয়নকক্ষে এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি আমার সম্মান ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশে করা হয়েছে।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বান্দরবান ট্যুরিস্ট পুলিশের ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘এখনও এ ধরনের কোনও মামলার কপি হাতে পাইনি। তাই বিস্তারিত বলতে পারছি না।’