জমে উঠেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। কুমিল্লা শহরজুড়ে এখন বিরাজ করছে নির্বাচনি আমেজ। মাঠে শুরু হয়েছে প্রার্থীদের কথার লড়াই। এক প্রার্থী অপর প্রার্থীর বিরুদ্ধে তুলছেন নানা অভিযোগ। নিজের গুণগান গেয়ে চাইছেন ভোট। কেউ রাজনৈতিক শক্তি পরীক্ষার প্রতিপক্ষকে মাঠে ডাকছেন। কেউ কেউ নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করছেন।
নির্বাচনি প্রচারণায় মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘নির্বাচিত হতে পারলে সাক্কুর দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করবো। এক বছরের মধ্যে নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা নিরসন করবো। যদি সাক্কুর দুর্নীতির প্রমাণ করতে না পারি প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবো। তার এই বক্তব্যে তোলপাড় শুরু হয়েছে নগরীতে।’
দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় নৌকার প্রার্থী রিফাতকে রাজনৈতিক শক্তি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা স্টেডিয়ামে ডেকেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ জুন) নগরীর ২০ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচারণা শেষে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, ‘যদি শক্তি থাকে ওনাকে বলেন স্টেডিয়ামে আসতে, আমিও আসবো। আমি চোর হলে সে বড় চোর!’ সাক্কুর এমন বক্তব্যে কুমিল্লা সিটি নির্বাচনের মাঠ এখন থমথমে।
মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ‘আল্লাহ চামড়ার মুখ দিছে, মুখে যা আসে তাই বলে। উনি প্রমাণ করার কে। উনি জজ না সরকার?’
আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার বলেন, ‘ওনারা নিজেরা নিজেদের দুর্নীতির কথা প্রকাশ করে দিয়েছেন। সব এখন মানুষের সামনে। কুমিল্লার মানুষ বিচক্ষণ। তাদের সিদ্ধান্ত ভালোই হবে। প্রচার-প্রচারণাকালে আমার লোকদের হুমকি দিচ্ছে নৌকার কর্মীরা। আমি এই বিষয়টিসহ সাতটি অভিযোগ দিয়েছি নির্বাচন কমিশনে। তার একটিরও প্রতিফলন দেখছি না।’
কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে এবার মেয়র পদের জন্য লড়ছেন পাঁচ প্রার্থী। এটি এই সিটির তৃতীয় নির্বাচন। এর আগে ২০১২ ও ২০১৭ সালের দুই নির্বাচনে মেয়র পদে জয় লাভ করেছিলেন বিএনপি সমর্থিত মনিরুল হক সাক্কু। আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লা সিটি নির্বাচন। এ বছর ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করছেন সাক্কু।