আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ গ্রুপের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন আশরাফুল ইসলাম রাজ, ওয়াহিদুল আলম সুজন, রাফসান, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, জাহেদুল অভি ও আলিফ জাবেদসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে কাজল নামে এক ছাত্রের ওপর হামলা চালানো হয়। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার আবারও সংঘর্ষে জড়ায় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদুল করিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সোমবার কোনও কারণ ছাড়াই ক্যাম্পসে এক জুনিয়র ছাত্রকে মারধর করে সাধারণ সম্পাদকের লোকজন। এ কারণে আজ উত্তেজনা দেখা দেয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর পুরো দায় সাধারণ সম্পাদকের।’
অভিযোগ অস্বীকার করে সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ বলেন, ‘কলেজ ক্যাম্পাসে পরিকল্পিতভাবে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। অকারণে ক্যাম্পাসে আমাদের ছেলেদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করা হচ্ছে।’
নগরীর পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদেকুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম কলেজের এক ছাত্রকে আহতাবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার নাম আশরাফুল ইসলাম রাজ (২০)। তিনি বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের নজরুল ইসলামের বাড়ির এহাছানুল হকের ছেলে। তাকে হাসপাতালের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি দেওয়া হয়েছে। আশরাফুল ইসলাম ছাত্র জানিয়েছেন, সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ গ্রুপের ২৫-৩০ জন ছাত্র মিলে তাকে মারধর করেছে।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুর কাদের মজুমদার জানান, ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত কয়েছে বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষই অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি। এলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।