প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন ২৮ সেপ্টেম্বরকে কন্যাশিশু দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত ‘বাঙালির স্বপ্ন পূরণের বাতিঘর’ শীর্ষক এক সেমিনারে এই দাবি তোলেন তিনি। এই সময় তার দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন সেমিনারের সভাপতিসহ অন্যান্য আলোচকরা।
অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার বলেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ তারিখকে কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন। তিনি এই দেশের জন্য, এই দেশের মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাই তার জন্মদিনের দিন অর্থাৎ ২৮ সেপ্টেম্বর দিনটিকেই জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করা যৌক্তিক। তাই এই সেমিনারের মাধ্যমে আমি ২৮ সেপ্টেম্বরকে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা না থাকলে বাংলাদেশের মুক্তি আসতো না। কারণ স্বাধীনতার পরপরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়। তার হত্যার মাধ্যমে ঘাতকরা এই দেশ থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় প্রধানমন্ত্রী তখন দেশের বাইরে অবস্থান করায় বেঁচে যান। পরে তিনি দেশে ফিরে দেশের হাল ধরেন। তার হাত ধরেই বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে। তাই বাংলাদেশের মুক্তির অপর নাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দেশের মানুষের আশা ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। তিনি দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের বাতিঘর। বাতিঘর যেমন আলো দেখিয়ে জাহাজের নাবিকদের কূলে ভেড়াতে সহায়তা করে, তেমনি প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশকে তার মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে উন্নয়নের কূলে নিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি আরও বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যাকে ২১ বার হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি এতে একটুও দমে যাননি বরং দ্বিগুণ উদ্যমে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তার মতো নির্মোহ, নির্লোভী ও প্রজ্ঞাবান নেতৃত্ব বিশ্বে বিরল। তিনি জানেন ভোগে ভোগান্তি, ত্যাগে প্রশান্তি। তাই নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিনে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকার কার্যালয়ের সভাকক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. নাছিম আখতার। এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মোছা. নাসরিন আখতার এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. কে এম রেজানুর রহমান। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রীর ৭৬তম জন্মদিন পালনের অনুষ্ঠান শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
